পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর। Rre ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন যে প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ শেষ হইয়া গিয়াছে। তিনি এই মহৎ কাৰ্য্যে যোগ দিতে পারিলেন না। বলিয়া আক্ষেপ করাতে রাজা আদেশ করিলেন “এমন একটা বুরুজ নিৰ্ম্মাণ করা যাহা আর সকলকে ছাড়াইয়া উঠিবে।” এই আদেশের ফল “উপরি” বুরুজ। ইহা সহরের উন্নত ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত ; বাস্তবিকই আর সকল বুরুজের উপর টোকা দিতেছে—চারিদিক হইতে ইহা নজরে আইসে ও ইহার পৃষ্ঠ হইতে সহরের প্রাচীরসমেত সমুদয় ক্ষেত্ৰ নেত্ৰগোচর হয় । ইহার উপর দুইটি তোপ স্থাপিত। তাহার একটীি প্ৰকাণ্ড লম্বা, নাম, “লম্ব-চারী।” লাণ্ডা কসবের পৃষ্ঠেও এক বৃহৎ লৌহ কামান দৃষ্ট হয়। ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দে যখন ঔরঙ্গাজীব বিজাপুর আক্রমণ করেন, তখন এই বুরুজের উপরেই তঁাহার সমুদায় শস্ত্ৰবল প্রয়োগ করা হয়—তাহার গুলিগোলার নিশান এখনও পৰ্য্যন্ত ইহার প্রাচীরে ও কামানের গায়ে প্রত্যক্ষ করা যায়। এই বুরুজের অনতি দূরে “মঙ্গল তোরণ” নামক সহরের যে প্ৰবেশ দ্বার ছিল, ঔরঙ্গাজীব সে নাম বদলাইয়া “ফতে ফটিক” নামকরণ করেন। বিজয়ী সম্রাট এই ফতে ফটকের মধ্য দিয়া বিজাপুর সহরে প্রবেশ পূর্বক স্বকীয় জয় ঘোষণা করেন । পঞ্চ তোরণের মধ্য দিয়া সহরে প্রবেশ করা যায়। তাহার চারিটী অক্ষত রহিয়াছে; পঞ্চম দ্বার সরকারী আফিস প্রভৃতি ইমারত সঙ্ঘাতে বন্ধ হইয়া গিয়াছে। যে দিক দিয়া প্ৰবেশ NV