পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর V) o ) নতা-বসন পরিত্যাগ পূর্বক রাজপদবী গ্রহণ ও বিজাপুরে স্বীয় রাজ্য স্থাপন করিলেন। ১৪৯৮-এ দক্ষিণ সুলতানেরা বাহমানী রাজ্য আপনাদের মধ্যে বিভাগ করিয়া লন, তখন গোওয়া ও তৎসমীপবৰ্ত্তী প্রদেশ য়ুসফের ভাগ্যে আইসে। যখন ভাস্কো ডি-গামা ভারতবর্ষের নূতন পথ আবিষ্কার পূর্বক কর্ণাটক তীরে আবিভূতি হন, তখন ফুসফ বিজাপুরের অধীশ্বর। পোর্তুগীসদের সঙ্গে গোওয়া লইয়া তাহার অনেক যুদ্ধ হয়। ১৫০৯এ পোৰ্ত্তগীসদের রাজপ্রতিনিধি। আলবুকৰ্ক বিজাপুর বিপক্ষে বিজয়নগরের রাজার সহিত সন্ধি বন্ধন করেন। পর বৎসরে আলবুকর্কের হস্তে বিজাপুর সৈন্যের পরাভব হইয়া গোওয়ায় পোর্তুগীস আধিপত্য সংস্থাপিত হয় । বিজাপুরে দুই শত বৎসরের মধ্যে নয় জন রাজা সিংহাসনে উপবিষ্ট হন, কিন্তু তাঁহারা নির্বিঘ্নে রাজ্যভোগ করিতে পান নাই। সেকাল সুখশান্তিভোগের কালই নহে। ঘোর উপদ্রব— তুমুল বিপ্লব-গভীর অশান্তির মধ্যে তঁহাদের রাজ্য কারবার। হয়। বৈরানিৰ্যাতনের চেষ্টা, নয় শত্রু হইতে আত্মরক্ষার উপায় চিন্তন। সিয়া ও সুন্নী মুসলমানের যুদ্ধ-প্ৰতিবাসী সুলতানদের সহিত যুদ্ধ-বিজয়নগরের হিন্দু রাজাদের সহিত যুদ্ধ-মোগলদের সহিত যুদ্ধ—এই সকল যুদ্ধ বিগ্রহের মধ্যে বিজাপুর রাজারা কখন যে রাজ্যশাসন—রাজ্যের উন্নতি ও শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনের অবকাশ পাইতেন তাহা ভাবিয়া ওঠা যায় না । য়ুসফ আদিল সা পারস্যে বাস ও শিক্ষালাভ করিয়া সিয়া