পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজাপুর \9 ა ზ সুবৰ্ণরঞ্জিত ভজনালয় তঁহার রচিত। বিপুল কাষ্ঠস্তম্ভাবলম্বিত উচ্চছাদ-চিত্ৰিত প্ৰকোষ্ঠ-সমন্বিত আসারমহল তঁহারি কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। আর বিজাপুরের বিশেষ ভুষণাস্পদ যে গোলগুম্বজ তাহা তাহারি সুযোগ্য সমাধি মন্দির । মাহমুদের রাজত্বকালে মহারাষ্ট্রী বীর শিবাজী আবিভূতি হন। তঁহার পিতা সাহাজী বিজাপুর সুলতানের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেন। শিবাজী ; পিতার সর্ববাদিসম্মত রাজভক্তির আড়ালে ও মাতার উৎসাহ বাক্যতলে তিনি এক একটী করিয়া পাহাড় দুৰ্গ অধিকার পূর্বক বিস্তীর্ণ রাজ্যের পত্তন করিলেন। লোকে ভাবে যেন তিনি বিজাপুর রাজার হইয়া কাৰ্য্য করিতেছেন। র্তাহার নিগুঢ় অভিসন্ধি কেহ সন্দেহ করিতে না করিতেই তিনি বিস্তুত প্রদেশ আত্মবশ করিয়া লইলেন। ১৬৪৬এ পুণার নিকটবৰ্ত্তী তোরণা দুর্গ অধিকার ও তন্নিহিত গুপ্তধন আবিষ্কার করিয়া অবধি তিনি বিজাপুর রাজ্যের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বিদ্রোহচরণে প্ৰবৃত্ত হইলেন। কোকণস্থ কল্যাণ হইতে বিজাপুরে রাজস্ব লইয়া এক দল লোক আসিতেছিল। শিবাজী সে ধন লুণ্ঠন করিয়া লন ও ক্ৰমে অন্যান্য দুৰ্গ দখল করিয়া রাজ্য বিস্তার করিতে থাকেন, এই সকল কাণ্ড দেখিয়া রাজা তঁহাকে রাজবিদ্রোহী বলিয়া স্থির করিলেন । সাহাজী তখন কর্ণাটকেতঁহাকে বিজাপুরে আনাইয়া জেলখানায় বদ্ধ করা হইলও বলা হইল যে তঁাহার পুত্ৰ যত দিন ধরা না দেন। ততদিন তঁহার মুক্তিলাভ নাই। শিবাজী মোগল সম্রাট সাজিহানের নিকট আবেদন