পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८दांक्षाझे प्रश्न । ৩৪৭ প্ৰকৃতির শোভা সেইরূপই আছে। পাহাড়ের প্রান্তবর্তী ভিন্ন ভিন্ন কোণ হইতে প্রকৃতির যে কঠোর সুন্দর মূৰ্ত্তি দৃষ্টিগোচর হয় তাহা তখনো যেমন এখনো তেমন। কতক গাছপালা-শূন্য কঠোর পর্বতশ্রেণী ;-কোন কোন পাহাড় দুস্তর বন জঙ্গলের মধ্যে দিয়া গভীর পাতালে নামিয়া গিয়াছে। মহাবলেশ্বরের পশ্চিমে প্ৰতাপগড়ের পাহাড় বনরাজির মধ্য হইতে গগন ভেদ করিয়া উঠিয়াছে। সেই পাহাড়ের উপর দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়া প্ৰকৃতির বলের উপর কৃত্ৰিম বল যোজিত হইয়াছে। শিবাজী এই দুর্গে ব্যান্ত্রের ন্যায় বসিয়া শিকার নিরীক্ষণ করিতেছেন। আফজুল খাঁ ভঁাহাকে ধরিতে আসিতেছেন। পথিমধ্যে তুলজাপুরের মন্দির আক্রমণ করিয়া হিন্দুদের যথেষ্ট অপমান করিয়াছেন। ম্নেচ্ছদের উপর হিন্দুদের জাতিবৈর দ্বিগুণ জ্বলিয়া উঠিয়াছে। শিবাজী চর-মুখে সকল সংবাদ পাইতেছেন। আফজুল খ্যা অনেক সৈন্য সামন্তে পরিবৃত, তঁহার সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে জয় লাভের সম্ভাবনা নাই, ছলে ও কৌশলে তঁাহাকে মারিতে হইবে। শিবাজী নবাব সাহেবের নিকট দূত পঠাইলেন ও ভয়ের ভান করিয়া এইরূপ দেখাইতে লাগিলেন যে তিনি নবাবের অধীনতা স্বীকারে এখনি প্রস্তুত, কেবল প্রাণভয়ে ধরা দিতে নারাজ। খাঁ সাহেব যদি প্রতাপগড়ে অধীনের সাক্ষাৎকারে সম্মত হন তাহা হইলে মুখে সকল কথা হইবে ! অবশেষে তাহাই সাব্যস্ত হইল। নবাব কোন দুরভিসন্ধি মনে নী আনিয়া শিৰাজীর সহিত সহজভাবে সাক্ষাৎ করিতে চলি