পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । (ইতিহাস-অনুক্রম) শিবাজীর প্রতিভা গুণে এই যে মহারাষ্ট্রী রাজ্যের সূত্ৰপত্তন হইল, তাহ অনতিকাল মধ্যেই সমুদায় ভারতে বিস্তীর্ণ হইয়া পড়িল । কিন্তু বলিতে কি, শিবাজীর বংশজ রাজগণের মধ্যে কেহই তাহার মত বীর ও যশস্বী হয় নাই। তঁহার পুত্ৰ শম্ভোজী শম্ভোজী; নিকৃষ্ট আমোদসক্ত নিতান্ত আকৰ্ম্মণ্য ছিলেন । সঙ্গমেশ্বরে আমোদ প্রমোদে মত্ত আছেন, এমন সময় জনৈক মোগল সরদার সন্ধান পাইয়া ভঁাহাকে বন্দী করিয়া ঔরঙ্গ জীবের নিকট ধরিয়া আনে। শম্ভোজার প্রাণ রক্ষার্থে বাদ সাহিকে অনেক অনুরোধ করাতে সম্রাট বলিয়া পাঠাইলেন “তোর জীবন মরণ আমারি হাতে তা তুই জানিস্। যদি মুসলমান হতে রাজী হােস্, তা হলেই তোর প্রাণ রক্ষা, নতুবা জল্লাদের হাতে তোর মৃত্যু।” শম্ভোজী উত্তর দিলেন “বান্দস যদি আপন কন্যাকে আমার সঙ্গে বিবাহ দিতে রাজী হন, তা হলে আমি মুসলমান হই।” এই উত্তরে ঔরঙ্গাজীব ক্রোধান্ধ হইয়া শম্ভোজীর প্রাণদণ্ড আদেশ করিলেন । नइछ् > १०१ } শম্ভোজীর পুত্র সাহু শৈশবকালে ঔরঙ্গ জীবের হস্তে পতিত হইয়া অনেক বৎসর কারাবাসে কালাতিপাত করেন। ঔরঙ্গ জীবের মৃত্যুর পর তিনি বন্ধনমুক্ত হইয়া স্বরাজ্য ফিরিয়া পাইলেন। কিন্তু মোগলদের মধ্যে সুদীর্ঘ কারাবাস