পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । বাণিজ্য । डेशन, যাদুঘর ਝੇ অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে ইডেন পার্ক কিম্বা কোম্পানির বাগানের মত বাগান বোম্বায়ে নাই—আর গঙ্গার মত নদী ও নাই। এখানকার প্রধান নগরোদ্যান যে বিক্টোরিয়া উদ্যান তাহা যৎসামান্য । তাহার মধ্যে একটী যাদুঘর আছে তাহা ও কোন কাৰ্য্যের নয়। কলিকাতার মু্যজিয়ামের সঙ্গে তাহার তুলনা হয় না। বিক্টোরিয়া উদ্যানে হরিণ ব্যাস্ত্ৰ ভালুক বানর প্রভৃতি কতকগুলি পশু ধরিয়া রাখা হইয়াছে কিন্তু সে পশুশালার নাম মাত্ৰ। আলিপুরের পশুশালার মত স্থান বোম্বায়ে নাই। কিন্তু তেমনি আবার এখানকার জৈনেরা বলিতে পারে “কলিকাতায় একটীও পশুর হাস পাতাল নাই—কি লাজ ! বম্বের দেখা দেখি এখন হঠাৎ তোমাদের চৈতন্য হইল !” এই হাসপাতালকে “পিঞ্জরাপোল” বলে । রুগ্ন কাণ খোড়া আকৰ্ম্মণ্য অশ্ব গো মেষ মহিষাদি জন্তগণ যাহারা পীড়া বাৰ্দ্ধক্য বশত মানুষের কোন কাজে আসে ন-ইংরাজের হইলে যাহাদিগকে গুলি করিয়া মারে সেই সকল জন্তু ইহার মধ্যে রক্ষিত ও প্রতিপালিত হয়। ইহার বিনা পরিশ্রমে আহার পান পাইয়। পেন্সনজীবির ন্যায় দিব্য আঁরামে জীবনের শেষ ভাগ অতিবাহিত করে। বাণিজ্য ব্যবসা } বোম্বায়ের লোকেরা বাঙ্গালীদের অপেক্ষা