পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूकांब्रांभ । 8 বিরোধীনাম সংবৎসরে সীমগা (ফাস্তুন) বাদ্য (কৃষ্ণপক্ষ) দ্বিতীয়া, বার সোমবার তে দিবাসী প্ৰাতঃকালী তুকোবানী তীর্থস প্ৰয়াণং কেলে—শুভং ভবতুি মঙ্গলং” অর্থাৎ ১৫৭১ শকে বিরোধী নাম সম্বৎসরে ফান্থন কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া সোমবার প্রাতঃকালে তুকারাম তীর্থ প্রয়াণ করিলেন—শুভমস্তু।” তুকারামের এইরূপ অন্তর্ধান আর আমাদের কবি রামপ্রসাদ সেনের মৃত্যুর মধ্যে কতকটা সাদৃশ্য দেখা যায়। তুকারামের আসন্ন কালে তঁহাকে সর্বদাই ধ্যানমগ্ন দেখা যাইত । এই কালের একটী প্ৰবাদ আছে যে তিনি আলিন্দীর মন্দিরে গিয়া দেখিলেন যে মন্দিরের প্রাঙ্গণে এক বৃক্ষতলে এক পাল পক্ষী চরিতেছিল। তঁহাকে দেখিবামাত্ৰ তাহারা উড়িয়া গেল। ইহা দেখিয়া তিনি বিষাদে মগ্ন হইলেন। তঁহার মনে হইল যে এখনো আমার মনের মালিন্য আপনীত হয় নাইএখনো জীবজন্তু আমাকে দেখিয়া শঙ্কিত হয়- যে অবস্থায় প্ৰাণী মাত্রে আমাকে দেখিয়া ভয় পাইবে না। আমি এখনো সেই নিষ্কাম শান্তির অবস্থায় উপনীত হইতে পারি নাই। এই ভাবিয়া তিনি সেই বৃক্ষতলে শিবের ন্যায়। এরূপ নিশ্চেষ্ট ভাবে দাড়াইয়া রহিলেন যে বিহঙ্গদল তঁাহাকে অচেতন পদার্থ জ্ঞানে র্তাহার গায়ে আসিয়া উড়িয়া বসিল । তুকারামের এই সময়কার রচনাতে-সংসার মায়াময়-জীবব্রিহ্মে অভেদ-এই বৈদান্তিক ভাব প্রকটিত দেখা যায়, এবং তিনি ঈশ্বরে লীন হইয়া সংসার হইতে অপসৃত হইবার ভাব ব্যক্ত করেন।