পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত । os এখানে এক সুবিধা এই যে কয়েক দিবসের মধ্যে সমস্ত দ্বীপটিা ঘোরা যায়। এখান হইতে প্ৰত্যুষে ডাকের গাড়িতে উঠিয়া দশ ঘণ্টায় কলম্বো যাওয়া যায় ; কলম্বো হইতে দশ বার ঘণ্টায় কান্দীতে উত্তীর্ণ হওয়া যায়। কান্দীর নিকটেই সিংহলের দেখিবার বিষয় সকল বিদ্যমান আছে। তাহার অনতিদূরে উচু উচ্চ পর্বত শৃঙ্গে শীতের প্রাদুর্ভাব, এবং সেই সকল পর্বত প্রদেশের শোভা ভুবনবিখ্যাত। আদমশৃঙ্গ বলিয়া এক পৰ্ব্বতের চূড়াতে একটি পদচিহ্ন রহিয়াছে, কেহ বলে সে হনুমানের পদচিহ্ন ; কেহ বলে বুদ্ধদেবের । সিংহলের মধ্যস্থল কান্দৰী । মেডুয়াবাদি অার প্রকৃত হিন্দুস্থানীর মধ্যে যত প্ৰভেদ, সমুদ্রধারের লোক আর সেখানকার লোকেও তত প্ৰভেদ । কিন্তু এখনকার বালক পরিচারকগণকে দেখিয়া সিংহলীবাসীদিগের প্রকৃত ভাব কিছুই বুঝা গেল না। সিংহলের সমগ্র চিত্ৰ চিত্ৰিত করিতে হইলে এখানে আমাদের কত প্ৰকার করিয়া বেড়ান আবশ্যক। পুরাবৃত্ত-বেক্তার ন্যায়। এখানকার পুর্ব পূর্ব বৃত্তান্তের অনুসন্ধান করা ; কবির ন্যায়। এদেশের শোভনতম স্থান সমুদয় পৰ্য্যবেক্ষণ করা ; পৰ্য্যটকের ন্যায় এখানকার গ্রাম নগরের ভাব দেখা ; বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতের ন্যায় মৃতন বৃক্ষ পল্লবাদি ও নূতন পশু পক্ষী সকল নিরীক্ষণ করা ; জুই এক প্রধান প্রধান লোকের সঙ্গে আলাপ করা; এখানকার আঁচার ব্যবহার ও প্ৰচলিত বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের বিষয় শিক্ষা করা ; এখানে আমাদের সংক্ষেপের মধ্যে এত কাৰ্য্য। কবি, পণ্ডিত,