পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত। - GI o S এ বড় সামান্য স্থান নয় । সম্মুখে সমুদ্র নয়, ভারতবষীয় মহাসমুদ্র ! শোভা ও অতি মনোহর। চন্দ্ৰমার প্রভাবে এক্ষণে রজনী জ্যোতিষ্মতী ও লাবণ্যময়ী হইয়াছে। চন্দ্ৰমা ও তারকাগণের প্রতি নেত্ৰপাত করিলে সে সকলকে দূরস্থিত অপরিচিত বস্তুর ন্যায় বোধ হয় না । আমাদের সঙ্গে যেন তাহারদের কি নিগুঢ় সম্বন্ধ আছে। নক্ষত্র তারার উজ্জ্বল পত্রের মধ্যে যাহারা এ পৃথিবীর ঘটনাসূত্ৰ পাঠ করে, তাহদের নিতান্ত দোষ নাই। দূর হইতে জ্যোতিৰ্গণের মাহাত্ম্য এরূপ দেখায় যে মনুষ্য তাহারদিগকে উপেক্ষা করিতে পারে না । ২৮ আশ্বিন, বৃহস্পতিবার। প্ৰাতে সিংহলের স্থানের স্থানের বর্ণনা শুনিলাম। এক্ষণে এই প্রকার বর্ণনাতে আমাদের কৌতুহল-অগ্নিতে স্থাত ঢালিয়া দেওয়াই সারা হয় । কেবল সমুদ্রের গুণে আমরা এস্থানে টিকিয়া আছি; সূর্ঘ্যের উত্তাপ যেরূপ প্রখর, সমুদ্রবায়ু ব্যতীত এখানে থাকা ভার হইত। সমুদ্রের সৎ সংসর্গেই ইহার দোষ সকল ঢাকিয়া গিয়াছে। যাহা হউক এস্থান আর ভাল লাগে না, এস্থানের নূতনত্ব চলিয়া গিয়াছে। সন্ধ্যার সময় পূর্বোক্ত ডালচিনির উদ্যানে আইলাম। সুন্দর নির্জন স্থান। চতুৰ্দিক গাছপালায় পরিপূর্ণ-বোধ হয় যেন কোন বনের মধ্যে বসিয়া আছি। এখানে বায়ু শীতল-স্বভাবের সকলই কিছু কিছু আছে । নদী বন সমুদ্র, সমুদ্রের নিনাদ সর্বদাই শুনা যায়। একজন সাহেব উদ্যানরক্ষক ; তাহার নিকটে সিংহলীদের