Ο δ S বোম্বাই চিত্র । “মানিলে প্ৰাণ যজ্ঞারম্ভ করিল। প্ৰাণ সাধারণের উপকারী“প্ৰাণ সমস্ত শরীরের জন্য, কিন্তু আপনার জন্য নয় । প্ৰাণেরই “যজ্ঞ সফল হইল ।” ইহা হইতেই প্রচারকের উপদেশ গ্ৰহণ করুন। পিতার জীবন যেমন সকল পুত্রের জন্য সেই রূপ যিনি সমস্ত মনুষ্যের জন্য আপনার জীবন দান করিতে প্ৰস্তুত আছেন, তিনিই মহাত্মা । ত্যাগই ধৰ্ম্মের প্রাণস্বরূপ। সকলই স্বপদে থাকিবে-ধৰ্ম্ম ও রক্ষা পাইবে ; এ প্রকার করিয়া ধৰ্ম্ম রক্ষা হয় না । মহাত্মা রামমোহন রায় যদি ত্যাগ-স্বীকার না করিতেন—জন্মভূমি হইতে নির্বাসিত না হইতেন—বিষয় বিভব হইতে বঞ্চিত না হইতেন—লোকের তিরস্কার সহ না করিতেন, তবে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে রোপিতই হইত না । বঙ্গদেশের কি সৌভাগ্য ! দেশ বিশেষে এক এক সময়ে এক এক মাহাত্মা উদয় হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মানুযায়ী মত প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন, যথাৰ্থ বটে ; কিন্তু কোন জাতির মধ্যে ঈশ্বরের এমন বিশুদ্ধ উপাসনা প্রচার হয় নাই। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম যেমন উচ্চ, বঙ্গভূমি তেমন ইহার উপযুক্ত বোধ হয় না। এ ধৰ্ম্ম-বৃক্ষ এখানে শুষ্ক হয়, কি ফলে ফুলে সুশোভিত হয়, বলা যায় না । ঈশ্বরে প্রীতি এবং তঁাহার প্ৰিয়কাৰ্য্য সাধন, এই छूंशे মহদ্ভাবই এ ধৰ্ম্মের মূলাধার; ইউরোপ এবং এদেশের ভাব এ দুইই ইহাতে একত্রিত হইয়াছে। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে যেমন কৰ্ম্মের অভাব, নির্বাণীই মুক্তি, আমাদের ধৰ্ম্মে সেরূপ নহে ; ঈশ্বরের 不项 এবং ঈশ্বরপ্রীতিই আমাদের ধৰ্ম্মের জীবন। উদ্যানে অপেশী
