পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G Ry cनांश्रांछे डिी । নিপুণ। এই প্রকারে প্রায় দশ বারটা ভূত আমাদের সম্মুখে একে একে আসিয়া নৃত্য করিল। কাহারও মুখ কুম্ভকর্ণের মত- কাহারও নৃসিংহ অবতারের মত—কেহ বা কুকুটের ভূত সাজিয়া আসিয়া দেখিতে জটায়ুর মত হইয়াছে- কেহ মহাদেবের ন্যায় মস্তকে সৰ্প ধারণ করিয়াছে-কেহ মুখ ব্যাদান করিয়া ভয়ানক দন্তপাটী বাহির করিতেছে-কেহ মুখের মধ্যে মশাল ধরিয়া গর্ব প্ৰকাশ করিতেছে। একটি ভূত সকল অপেক্ষা ভয়ানক ! তাহার বিশাল দন্ত সমুদয় বহিৰ্গততাহার অৰ্দ্ধশরীর ভল্ল কচৰ্ম্মের মত এক বস্ত্ৰে আবৃত; সে কখনো বা লম্ফ কম্প দিতেছে, কখনও বা একটাকে ধরিতে যাইতেছে, কখন মশালে ধূনা নিক্ষেপ করিয়া চতুর্দিক প্রজ্জ্বলিত করিতেছে, কখনও অগ্নি খাইতেছে—এটাই প্ৰকৃত ভুত। সর্বশেষে আবার বালকটি আসিয়া নৃত্য আরম্ভ করিল। তাহাকে দেখিয়া হাস্য ও আক্ষেপ দুইই উপস্থিত হয় ; আক্ষেপ এই জন্য যে এই বালক যে পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ও একাগ্রতার সহিত ভূতের নৃত্য শিখিয়াছে, তাহা বিদ্যাশিক্ষাতে ব্যয় করিলে সে মনকে কত উন্নত করিতে পারিত, আত্ম-শোধনে সেইরূপ তৎপর হইলে মনুষ্য জীবনের কতই মহত্ত্ব লাভ করিত ! কিন্তু এক্ষণে তাহার মন কি সঙ্কীর্ণ স্থানে বদ্ধ রহিয়াছে! তাহার নৃত্য দেখিয়া লোকে একটুকু হাস্ত করিলে সে আপনাকে কেমন কৃতাৰ্থ বোধ করিতেছে! ভূতের ব্যাপার সমাপ্ত হইলে আর এক প্রকার বাদ্য আরম্ভ হইল ।