পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e Ou cवांक्षाई फ़िल्ण। দেখিতেছিলাম, সে দিনের আর আদ্যকার ভাব কত ভিন্ন । সে দিনে এক এক নারিকেল বৃক্ষ যত ভাবে পূর্ণ ছিল, আদ্য সারি সারি অট্টালিকাও সে প্রকার নয় ; সে দিন এক জন নাবিকের মুখ দেখিয়া মন যেরূপ হইয়াছিল, আদ্য শত শত মান্দ্ৰাজীকে দেখিয়াও সেরূপ হয় না । তখন ভাবিকাল সিংহলের উপরেই যেন নৃত্য করিতেছিল, কিন্তু এক্ষণে আবার কলিকাতারই প্ৰতি প্ৰতিক্ষণে মন ধাবমান হইতেছে । প্রায় ১ টার সময় মাতদাজ পরিত্যাগ করিয়া চলিলাম । আজি আমারদের কুঠরীতে দুই জন মান্দ্ৰাজী আসিয়া উপস্থিত। তাহারা আমাদের ঘরের লোক । কোন দুৰ্দান্ত সাহেব না। আঁসিয়া যে তাহারা আসিয়াছে, এই আমরা বহু করিয়া মানিলাম। ১৬ কাৰ্ত্তিক, মঙ্গলবার। সমুদ্র আবার অশান্ত হইয়াছে। আমাকেও আবার সমুদ্রপীড়া আক্রমণ করিয়াছে। দিন আর যায় না । बाम्लि भएन পড়িলে অস্থির হইতে হয়। অভাবেই সকল বস্তুর যথার্থ গৌরব প্ৰকাশ পায় । সিংহলে বাড়ির সকল বিষয় এক একবার ছায়ার ন্যায় মনে হইত, কিন্তু ফিরিয়া আসিবার সময়েই বাড়ির আকর্ষণ প্ৰবল হইতেছে। কলিকাতার ধূলি দুৰ্গন্ধ আর মনে আসিতেছে না ; কিন্তু উহার ভাল বিষয় সকলই মনে হইতেছে। আমি বাড়ির সকলকে একে একে মনে করি।-- লাম ; যতই এই বিষয় লইয়া আন্দোলন করা যায়, ততই যাই বার ইচ্ছা আরো প্রবল হয়।