ভারতবর্ষীয় ইংরাজ। R একালে আর নাই। পূর্বে আমাদের এক কথার যে মূল্য ছিল, এখনকার শত দলিল দস্তাবেজের সে মুল্য নাই। যে প্রদেশে ইংরাজি আদালত প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছে—ইংরাজি আইন প্রচলিত হইয়াছে সেখানেই কপটতা-কুটিলতা-জালBBGDD KKE BDBDYSS S DLBD DBDBDBDB D DD BBDBD BDBD BDBDD DDD ও আত্মসংরক্ষণে অসমর্থ হইয়া ক্ৰমেই বলবীৰ্য্যহীন নিজীবী হইয়া পড়িতেছি। পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতাপে আমাদের জাতীয় গৌরব হ্রাস হইতেছে। বিদেশীয় বাণিজ্য ব্যবসা বৃদ্ধি পাইতেছে বটে। কিন্তু তাহার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্রমে আমাদের দেশীয় ব্যবসায়ের লোপাপত্তি হইতেছে-কত কত দেশীয় শ্ৰমোপজীবির অন্ন মারা যাইতেছে। এ সকল সত্ত্বেও অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে, ইংরাজশাসনে আমাদের দেশের অনেক উপকার সাধিত হইয়াছে।--কিন্তু ইহাও বলিতে হইবে যে সে শাসন ভয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, প্রীতির উপর নহে। আমাদের সঙ্গে ইংরাজদের মমতা নাই। পূৰ্ব্বপশ্চিমের মধ্যে ভাবের কেমন অমিল। বাজা যখন বিদেশী-জেতু-বিজিতের মধ্যে যখন এত বিষয়ে অনৈক্য তখন আমাদের সঙ্গে তাহদের সম্বন্ধ কেবল স্বার্থ-সম্বন্ধ বলিয়াই প্ৰতীতি হয়। আমরা বলি ইংরা জেরা আমাদের জন্য যাহা করিতেছেন তাহা হয়। দায়ে পড়িয়া নতুবা স্বার্থসাধন উদ্দেশে। তঁহাদের রাজ্য-রাজ্যের সুশৃঙ্খলা আবশ্যক। র্তাহারা সভ্যজাতিসভ্যতার অনুরোধে আমাদিগকে বিদ্যা শিক্ষা দিতে হইতেছে। এদেশীয় লোকে শিক্ষিত না হইলে রাজকাৰ্য্য চলিবে কি প্রকারে ? তথাপি দেখা যাইতেছে র্তাহারা সহজে আমাদিগকে সমান অধিকার প্রদানে সম্মত নহেন। আমাদিগকে উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত করিতে সহজে তঁহারা স্বীকৃত হন না। সিবিল সর্বিস সর্ব সাধারণের জন্য মুক্ত কিন্তু সে কেবল নামমাত্র। সিবিল সর্বিসে প্রবেশের নিয়মান বলী এরূপ কল-কৌশলে সংরচিত যে এদেশীয়দের জন্য তাহার প্রবেশ-দ্বার অবরুদ্ধ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সৈনিকদলের মধ্যে প্রবিষ্ট হইবার পথ আমাদের সম্বন্ধে একেবারেই রুদ্ধ। এই সকল দেখিয়া আমাদের মধ্যে অনেক কৃতবিদ্যও মনে করেন যে ইংরাজের মুখে যাহাঁই বলুন, তঁহাদের আন্তরিক
