পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষীয় ইংরাজ । Sis করা যাইতে পারে। এক এই বলা যাইতে পারে যে ভারতের সহিত আমাদের যেরূপ ব্যবহার তাহাতে পৃথিবী-শুদ্ধ লোকে আমাদের পরোপকার-ব্রত ও নিঃস্বার্থ ভাবের সম্পূর্ণ পরিচয় পাইতেছে। আমরা এইক্ষণে ভারতের সঙ্গে যে ভদ্র ব্যবহার করিতেছি তাহাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের সকল দোষের প্রায়শ্চিত্ত যতদূর সাধ্য তাহা হইয়াছে। আমরা জগৎকে দেখাইতেছি যে অল্প সংখ্যক ইউরোপীয় কর্তৃক কিরূপে কোটি কোটি প্ৰজাপুঞ্জের মধ্যে শান্তি সুনিয়ম সৌরাজ্য বিস্তার * হইয়া তাহদের অবস্থার সর্বপ্ৰকার উন্নতি সাধিত হইয়াছে—যাহা তাহদের আপনাদের যত্নে কখনই হইতে পারিত না ও আমাদের সাহায্য বিনা এক বৎসর কালও স্থায়ী হইত না। এই সুদৃশ্যটি আমরা পৃথিবীর সম্মুখে প্ৰকাশিত করিয়া আপনাদিগকে যথার্থ গৌরবান্বিত মনে করিতে পারি। কিন্তু একথা থাকৃভারতবর্ষ হইতে আমাদের পুণ্য লাভের কথা হইতেছে না-আসল প্রশ্ন জিজ্ঞাস্য এই, তাহা হইতে আমাদের বৈষয়িক লাভ কতদূর হইতেছে ? “এক এই লাভ অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে আমাদের মধ্যে অনেক গুণবান ও কম্মিষ্ঠ লোক, যাহাদের কৰ্ম্মক্ষেত্র আমাদের দেশে অতি সঙ্কীর্ণ, তাহাদের জন্য ভারতবর্ষে অনেক গুলি উচ্চ অর্থকরী যশস্কর পদ উন্মুক্ত রহিয়াছে। ইহা পেক্ষাও অধিকতর লাভ এই যে, ভারতবর্ষীয় সিবিল সর্বিস সাধারণের জন্য মুক্ত হওয়াতে বিদ্যাশিক্ষার বিশেষ উত্তেজনা লাভের এবং গুণ ও পরিশ্রমের পুরস্কার প্রদানের এক প্রকৃষ্ট উপায় যোজনা হইয়াছে। আমরা ভারতবর্ষের প্ৰশস্ত কাৰ্য্যালয়ে প্ৰবেশ করিয়া যে সকল নিয়ম বন্ধন করিয়াছি তাহাতে আমাদের গুণবান বিদ্বান যুবকগণ যেমন তাহদের উপযুক্ত কৰ্ম্ম-ভূমি পাইতেছে সেই অনুসারে ভারতবর্ষীয়দেরও উপকার সংসাধিত হইতেছে। { “ভারতবর্ষীয় রাজস্বের সদ্ব্যয় ও শৃঙ্খলা-বন্ধন আমাদের সামান্য গৌরবের বিষয় নহে। লবণের উপর অযথোচিত কর ও শুল্ক আদায় সঙ্গন্ধে আর যে কতকগুলি দোষ ও অন্ধত দৃষ্ট হয়, কালে তাহ বিলুপ্ত হইবে। যাহা হউক, ইহা মুক্ত কণ্ঠে বলা যাইতে পারে যে, বাৰ্ত্তা শাস্ত্রের নিয়ম বহির্ভূত যে সকল শুদ্ধ