পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 cवांक्षाई ष्यि। এখানে যত দেশ দেখিয়াছি তাহার মধ্যে সিন্ধু দেশ আমার চক্ষে বিশেষ নতুন ঠেকিয়াছিল। অন্যান্য স্থান হইতে উহার ভাব গতিক অনেক ভিন্ন । প্রথমতঃ বর্ষার অভাব । নদী, নালা, খালের জল হইতেই প্ৰায় সমস্ত কৃষিকাৰ্য্য নির্বাহ হয় । ইন্দ্ৰ বর্ষণ করেন না—পৃথিবীই স্বীয় নীর দিয়া তাহার অভাব পূরণ করেন। বৃষ্টি হয় না বলিয়া পাক ঘর বাড়ি নিৰ্ম্মাণ করিবার আবশ্যক হয় না, যেমন তেমন খড় মাটীর ঘর বাসযোগ্য করিয়া নিতে পারিলেই হইল। কালে ভদ্রে। যদি কখন ইন্দ্ৰ দেবের প্ৰসাদে বর্ষার আধিক্য হয় আমনি শুনা যায় সহরের অৰ্দ্ধেক বাড়ী ভূমিসাৎ হইয়াছে। সিন্ধুদেশের আবহাওয়ায়, বিশেষতঃ উত্তর অঞ্চলে, শীতোষ্ণের আতিশয্য যেমন ঠাণ্ড তেমনি গরম। গ্রীষ্মকালে ছাতের উপর কিম্বা বাহিরে খোলা জায়গায় শয়ন করিলেও পাখার আবশ্যক হয় ও জলসিঞ্চন করিয়া বিছানায় প্ৰবেশ করিতে হয়। শীতকালে তেমনি বিপরীত ঠাণ্ডা, ঘরের ভিতরেও অগ্নিসেবন ব্যতীত চলে না । সিন্ধুদেশে প্ৰকৃতির শোভা-সৌন্দৰ্য্য বিরল। ভাগ্যি সিন্ধুনদী আছে তাই রক্ষা, নতুবা ওদেশ মানুষের বাস যোগ্য হইত। কিনা সন্দেহ। আমরা যখন হাইদ্রাবাদে ছিলাম তখন সিন্ধুনদী আমাদের একমাত্ৰ বেড়াইবার স্থান ছিল । সন্ধ্যাবেল নদীর ধারে গিয়া বায়ুসেবন করা আমাদের নিত্য নিয়মিত কাৰ্য্য ছিল। মরুভূমির মধ্যে যেন সেই একমাত্র আরামের স্থান বোধ হইত। আর মধ্যে মধ্যে নদীর উপর নৌকা করিয়া বেড়ান যাইত। সিন্ধু নদীর ভাব