পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7 R cदांचाई मि। মুণ্ডন-প্ৰথা তাহার উপর নাই। এদেশীয় বিধবাদিগের সে সব ত আছেই। তাহার উপর এ অত্যাচার সহ্য করিতে হয় । ভবিষ্যতে বিধবা-স্ত্রীর যে-সকল জ্বালা যন্ত্রণ অদৃষ্টে আছে পতিবিয়োগের পরীক্ষণেই নাপিতের হাতে কেশচ্ছেদন তাহার পূর্বাভাস । স্ত্রীলোকের পক্ষে এ যে কি ভয়ানক যন্ত্রণা তাহা আমরা সহজে কল্পনা করিতে পারি না । আমার বিবেচনায় এ অপেক্ষা সহমরণ অনেক গুণে ভাল ছিল, মুহূর্তের মধ্যে সতীর সকল কষ্টের অবসান হইত। শিরোমুণ্ডন কিম্বা মুণ্ডচ্ছেদন যদি কোন রমণীর এ দুয়ের একটি বাছিয়া লইতে হয় তাহা হইলে বোধ করি। সে বেচারী শেষোক্ত দণ্ডই ঘাড় পাতিয়া লয়। স্ত্রীলোকের যা অমূল্য আভরণ—যে “রূপের নিগড় কি অমরে কিবা নরে না বঁধে কাহারে’—সেইটী হরণ করিতে পারিলেই নিৰ্ভীক হওয়া গেল—আর তাহার রূপলাবণ্যের কোন গৌরব রহিল না— তাহার সতীত্বের প্রতি আঘাতের কোন শঙ্কা রহিল না। এই উদ্দেশ্যেই এই নিষ্ঠার নিয়ম স্বষ্টি হইয়া থাকিবে। আশ্চৰ্য্য এই যে, যে সকল জাতির মধ্যে বিধবাবিবাহ চলিয়া আসিতেছে তাহারাও ব্রাহ্মণদের দেখাদেখি ঐ কঠোর রীতি অবলম্বন করিতে প্ৰস্তুত। কুদৃষ্টান্তের এমনি বল! সে দিন দেখিলাম আমার এক কায়স্থ বন্ধু, রায় বাহাদুর, আপনার পরিবারস্থ এক তরুণবয়স্ক বিধবা কন্যার শিরোমুণ্ডনে স্বচ্ছন্দে অনুমোদন করিলেন। স্বচ্ছন্দে বলাটা ঠিক হইল না-জাতির অনুরোধে বলা উচিত, কিন্তু তিনি এক জন শিক্ষিত নব্যদলের লোক হইয়া