পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cबांबारे 衍西1 স্ত্রীকে আপনার যথার্থ সঙ্গিনী, সহধৰ্ম্মিণী করিতে উৎসুক। তঁহারই শিক্ষা লাভ ঘটে নতুবা সংসারে প্রবেশ করিয়া বালিকা পূর্বপাঠ সকলি ভুলিয়া যায়—তাহার পূর্বশিক্ষার ফল সর্বৈব ব্যৰ্থ হয়। এদেশের স্ত্রী বিদ্যালয়ের সঙ্গে র্যাহার কিছুমাত্ৰ সম্পর্ক আছে তিনি ইহার প্রমাণ পদে পদে জাজ্বল্যমান দেখিতে পান-বাল্যবিবাহ স্ত্রীশিক্ষার যে ভয়ানক শক্ৰ তাহা বিলক্ষণ বুঝিতে পারেন। বালস্ত্রী-প্রসূত সন্তান রুগ্ন ও ক্ষীণকায় হয়। এ কথা লইয়া যে তর্ক উঠিতে পারে তাহা আমি জানিতাম না । তর্কবলে আমরা সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলিয়া বুঝাইয়া দিতে পারি। কিন্তু সে জাদুকারের ভেল্কীর মত চ’খে ধাদা দেওয়া মাত্ৰ-প্ৰকৃতির নিয়ম তাহার বিপরীতে সাক্ষ্য দেয়। ফল ফুল পাকিবার নির্দিষ্ট সময় আছে। পশু পক্ষীর যৌবনের বয়স নিরূপিত আছে, তাহার সীমা তাহার উল্লঙ্ঘন করে না, মানবদেহ ও প্ৰকৃতির নিয়মাধীন । তাহার পরিপক্কতার বয়স নিৰ্দ্ধারিত আছে। অকালপকা ফল যেমন সুস্বাদু হয় না। অকালপ্রসূত সন্তানও সেইরূপ ক্ষীণমনঃকায় হইয়া ভূতলে অবতীর্ণ হয়। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য এই, প্ৰাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন বয়সে স্ত্রী পুরুষের বিবাহ দেওয়া উচিত ? পাঠকদিগের স্মরণ থাকিতে পারে, বিবাহের নূতন আইন প্রচলিত হইবার পূর্বে মহাত্মা কেশবচন্দ্ৰ সেন এই বিষয়ে কতকগুলি দেশীয় ও ইউরোপীয় ডাক্তারের মত জিজ্ঞাসা করেন—ডাক্তার নৰ্ম্মাণ চেবারস্, ডাক্তার