পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 বৌদ্ধধৰ্ম্ম । --আমি পায়ে চলিয়া বেড়াই না, রথে আসিয়াছি। . * -যদি রথে আসিয়া থাকেন ত রথ কি, আমাকে বলুন। যুগকাষ্ঠখানা কি রথ ? যুগকাষ্ঠ, চক্র, আসন, ইহার কোনটাই রথী নহে। এই ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর সংযোগও রথী নহে। আমি যেদিকে দেখি, রথ নাই,-ইহা একটি শব্দমাত্ৰ। মহারাজ ! আপনি বলিলেন রথে আসিয়াছি-একি অসত্য নহে? যদি সত্য হয় ত রথ কি, আমাকে বুঝাইয়া বলুন। -আমি যাহা বলিয়াছি সত্যই বলিয়াছি,-যুগকাষ্ঠ, চক্ৰ, চক্রনাভি, অর, আসন ; এই সব মিলিয়া রথের নাম রথ। -যদি তাহাই ঠিক হয়, নাগসেনও সেইরূপ। রূপ, বেদনা, সংস্কার, বিজ্ঞান, এই সকল মিলিয়া তাহার নাম নাগসেন। তাহার আভ্যন্তরিক বিষয় আর কিছুই নাই । জীবাত্মা এই পঞ্চ স্কন্ধের সমষ্টি।” ، ۰۰ আত্মজ্ঞান বিষয়ে উপনিষদ আর বৌদ্ধধৰ্ম্মের কি প্রভেদ দেখুন। বৌদ্ধমতে জীবাত্মা বলিয়া দেহ হইতে কোন স্বতন্ত্র পদাৰ্থ নাই। জন্মসংস্কারে জীবন-স্রোত বহিয়া যাইতেছে, তাহার মধ্যে “আমি” “তুমি” কোন মূল সত্তা বিদ্যমান নাই। এক অবস্থা হইতে অন্য অবস্থায় আমার আমিত্ব চলিয়া आज, अथवा विनश्छे श्ना यान ? cबोक्पन्न शब्र ७खन कि দেন -এই বিষয়টি বুঝাইবার জন্য দীপশিখার সহিত আত্মার উপয়া দেওয়া হয়। দীপশিখা যেমন বায়ুভয়ে এক বস্তু হইতে অন্য বস্তু আশ্ৰয় করিয়া জ্বলিয়া উঠে, জীব সেইরূপ এক যোনি হইতে অন্য যোনিতে ভ্ৰমণ করে, এক দেহ ত্যাগ করিয়া,