পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম S কোশল এক ক্ষুদ্র রাজ্য-দীৰ্ঘোত আমার সৈন্যের সহিত যুদ্ধে পারিয়া উঠিবে না । দীৰ্যেতি নিজের দুর্বলতা অনুভব করিয়া রাজ্য ছাড়িয়া পলায়ন করিলেন, ও নানা স্থানে ভ্ৰমণ করিতে করিতে অবশেষে কাশী আসিয়া উপনীত হইলেন । তথায় তিনি সন্ন্যাসীবেশে এক কুম্ভকার-গৃহে রাণীকে লইয়া বাস করিতে লাগিলেন। রাণীর এক সন্তান জন্মিল, তাহার নাম দীর্ঘায়ু। দীর্ঘায়ু বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইলে রাজা তাহার অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়া তাহাকে দূরে পাঠাইয়া দিলেন। যখন ব্ৰহ্মদত্ত জানিতে পারিলেন যে, কোশলরাজ ছদ্মবেশে রাণীর সহিত কুস্তকার-গৃহে বাস করিতেছেন, তখন তিনি তাহাদের উভয়কে ধৃত করিয়া প্ৰাণদণ্ড আদেশ করিলেন। তঁহাদের পুত্র দীর্ঘায়ু কাশীর বাহিরে বাস করিতেছিল, তাহার পিতা মৃত্যুর পূর্বে তাহাকে আনাইয়া উপদেশ দিলেন“হে পুত্র দীর্ঘায়ু, অধিক দেখিও না-অল্প দেখিও না। হিংসা প্ৰতিহিংসা দ্বারা পরাজিত হয় না-মৈত্রীগুণে হিংসাকে পরাজয় করিবেক ।” দীর্ঘায়ু বনে গমন করিয়া। কাতর স্বরে ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। পরে তিনি নগরে ফিরিয়া আসিয়া নৃপতির হস্তীরক্ষকের অধীনে কৰ্ম্মগ্রহণ করিলেন । পরদিন প্ৰত্যুষে উঠিয়া তিনি বীণা বাজাইয়া মধুর স্বরে গান আরম্ভ কৱিলেন । রাজা শুনিয়া জিজ্ঞাসা করাতে পরিজনেরা বালকটিকে রাজার নিকট লইয়া গেল ; রাজা সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে আপনার পাশ্বচর করিয়া রাখিলেন ।