পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম। SYCA বুদ্ধ-শিষ্যের গৈরিক বসনে রাজা প্ৰজা, ব্ৰাহ্মণ শূদ্র সকলেই একীভূত। একমাত্র উচ্চবর্ণের লোকে নির্বাণ লাভের অধিকারী, তাহা নহে-সুর নর, উচ্চ নীচ সকলেরই কল্যাণ উদ্দেশে এই ধৰ্ম্ম প্ৰচারিত । বুদ্ধের প্রথম শিষ্যদলের মধ্যে আমরা রাজনাপিত উপালীর নাম দেখিতে পাই। হীন অস্পৃশ্য জাতি হইতেও যে তাহার সঙ্ঘ পুষ্টিলাভ করিত, এরূপ আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে। থেরাগাথায় সুনীতি নিজ কাহিনী যাহা বলিতেছেন, তাহা শ্রবণ করুন— “নীচকুলে আমার জন্ম, আমি দীন দরিদ্র অজ্ঞান ছিলাম, মন্দিরের শুষ্ক ফুল ঝাঁট দিয়া মন্দির পরিচ্ছন্ন রাখা—এই আমার কাজ। লোকে আমায় হেয়ম্ভজ্ঞান করিত, আমি বড়লোকের নিকট ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণত হইতাম। ভগবান বুদ্ধ যখন তাহার শিষ্যগণসহ মগধের মধ্য দিয়া চলিয়া যাইতেছিলেন, তখন তঁহার দর্শন লাভ মানসে আমার মাথার বোঝা ফেলিয়া দিয়া ধাবিত হইলাম। আমায় দেখিয়া তিনি কৃপালু হইয়া ক্ষণেকের তরে দাড়াইলেন। রাজাধিরাজতুলা কোথায় সেই ভগবান বুদ্ধ, আর কোথায় আমার মত এই দীনহীন অকিপঞ্চন । আমার আবেদন শুনিবার জন্য থামিলেন। আমি প্ৰভুচরণে দণ্ডবৎ প্ৰণাম করিয়া নিবেদন করিলাম-প্ৰভো ! এই অধীনকে আপনার ভিক্ষু— দলে গ্ৰহণ করুন। তখন পরম রূপালু ভগবান বুদ্ধ কহিলেনহে ভিক্ষু, এস-আমার সঙ্গে চল । এই আমার একমাত্র দীক্ষা ।” পরে সুনীত কহিতেছেন, “আমি অরণ্যে গিয়া ধ্যানধারণায় নিযুক্ত রহিলাম, এবং মুক্তির উপায় অন্বেষণ করিতে