পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । SSS» ক্রীতদাস নহে। যখনই কোন দাসকে সঙ্ঘভুক্ত করা হইত, তখনই সে যে প্রভুর সম্মতিক্ৰমে কিম্বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিয়া এই দীক্ষা গ্ৰহণ করিল, তাহা বিশেষভাবে জানাইতে হইত। দ্বিতীয়তঃ-সঙ্ঘের বাহিরে সাধারণ সমাজে, জাতিভেদ সম্বন্ধে কুসংস্কারসকল তিনি ধীমান ব্যক্তির ন্যায় যুক্তিযুক্ত উপদেশ ও সম্যক বিচারবুদ্ধির দ্বারা দূরীভূত করিবার প্রয়াস পাইতেন। সূত্ত নিপাতের কোন কোন সূত্তে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়-যথা, জাতিবিশেষের সহিত একত্ৰ পানভোজন কিম্বা তাহদের স্পষ্ট অথবা পক্ক আহাৰ্য্য গ্রহণে পাপ স্পর্শে না,— কুচিন্তা, কুবাক্য, এবং কুকৰ্ম্মের দ্বারাই লোকে পাপভাগী হয়। বুদ্ধ-পূর্ব শাস্ত্রেও এই নীতির অভাব নাই, কিন্তু সাধারণতঃ জাতিভেদ সম্বন্ধে মতামত তাহার নিজস্ব, তাহা আর অন্যত্র দৃষ্টিগোচর श् व् । এই সম্বন্ধে তাহার উক্তিসকল তিন ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে ৪-বৈজ্ঞানিক, নৈতিক, এবং ঐতিহাসিক। সূত্ত নিপাতের বশিষ্ঠ সূত্তে (যাহার কতকগুলি শ্লোক ধৰ্ম্মপদে স্থান লাভ করিয়াছে) প্রশ্ন এই যে, মানুষ কিসে ব্রাহ্মণ পদবীর যোগ্য হয় ? উত্তরে, বুদ্ধ প্ৰশ্নকারককে স্মরণ করাইয়া দিতেছেন, উদ্ভিদ, পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ বহু শ্রেণীতে বিভক্ত, এবং প্ৰত্যেক শ্রেণী নিজ নিজ লক্ষণবিশেষের দ্বারা পরিচিত হইয়া থাকে ; কেবলমাত্র মনুষ্যই এই বিশেষাদ্ববর্জিত। আধুনিক বিজ্ঞানও তাহার এই মতের সমর্থন করে। অন্যান্য সূত্তেও তিনি এই একই অভিমত প্ৰকাশ করিয়াছেন ।