পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う?や বৌদ্ধধৰ্ম্ম । বিবাদ মীমাংসার জন্য পঞ্চায়তের ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য । প্ৰায়শ্চিত্ত সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়া পঞ্চায়তে সমৰ্পিত হইলে, অধিকাংশ লোকের মতে তাহার নিম্পত্তি হইত। যে সকল ভিক্ষু পঞ্চায়তে নিযুক্ত হইবেন, তঁহাদের কতকগুলি গুণ থাকা আবশ্যক। অপক্ষপাতী, রাগদ্বেষভয়শূন্য, বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন বয়োজ্যেষ্ঠ ভিক্ষুরাই এই পঞ্চায়তে বিচার করিতেন। মত গ্রহণের তিন প্ৰকার রীতি ছিল- গুপ্ত, অপ্ৰকাশ্য, প্ৰকাশ্য । যখন নিঃসংশয়ে জানা যায় যে, কোন একটী বিষয় সাধারণ মতে ধৰ্ম্মনিয়মের অনুবত্তী, তখন আর গুপ্তমত গ্রহণের আবশ্যক নাই, প্ৰকাশ্য ভাবে গ্ৰহণ করিলেই হইল। তর্ক বা সন্দেহস্থলে মতগ্ৰাহক ভিক্ষু দুই রঙের টিকিট প্ৰস্তুত করিবেন, ও যিনি মত দিতে আসিবেন তাহাকে বলিবেন “এই মতের লোকের জন্য এই টিকিট ; অন্য মতের লোকের জন্য এই অন্য টিকিট ; যেটা ইচ্ছা! গ্রহণ কর । অন্য কাহাকেও দেখাইও না ।” বিজ্ঞাপক যদি বিবেচনা পূর্বক স্থির করেন যে, ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ পক্ষের মত বলবত্তর, তাহা হইলে সে মত অগ্ৰাহা করিবেন। আর ধৰ্ম্মের অনুযায়ী স্থির হইলে, সে মত গ্ৰাহ্যু করিবেন । মত গ্রহণের এই গুপ্তরীতি ( ব্যালট ) । অপ্ৰকাশ্য রীতি হচ্ছে ভিক্ষুর কানে কানে বলা, “এই টিকিট এই মতের পোষক, এই অন্য টিকিট অন্য মতের পোষক-যেটা ইচ্ছা গ্ৰহণ করা। তুমি কোন মতে মত দিবে। আর কাহাকেও বলিও না।” বিজ্ঞাপক যদি বিবেচনা পূর্বক স্থির করেন যে ধৰ্ম্মবিরোধী মত বলবত্তর, তাহা হইলে লে মত অগ্ৰাহা করিবেন ; অধিকাংশের মত ধৰ্ম্মের অনুযায়ী স্থির