পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । SV স্ত্রীসংসর্গ হইতে দূরে থাকিবার জন্য আটঘাট যতই বঁধিয়া রাখা যায়, তাহার ফলে তাহাদের সংঘর্ষ এড়াইবার উপায় নাই । ভিক্ষায় বাহির হইয়া দ্বারে দ্বারে। পৰ্যটন কর, অথবা গৃহস্থের গৃহে ভোজনের নিমন্ত্রণে যাও, হে ভিক্ষু ! রমণী সমাগম হইতে তোমার কিছুতেই নিস্তার নাই। তুমি চাও আর না চাও, তাহাদের দয়া মায়া তোমাকে বেষ্টন করিয়া থাকিবােঁ । বিশেষতঃ প্ৰাচীন ভারতে যখন অবরোধ প্ৰথা তেমন কঠোর ভাবে প্রচলিত ছিল না, লোকসমাজে স্ত্রীলোকেরও মেলামেশা ছিল, যখন জাতীয় উদ্যমে স্ত্রীলোকেরাও যোগ দিতে কুষ্ঠিত হইতেন না-তখনকার ত কথাই নাই। রমণীব সুন্দর ছবি আমরা প্রথম হইতেই বৌদ্ধ সমাজে চিত্রিত দেখিতে পাই। বুদ্ধের বুদ্ধত্ব লাভের পূর্বেই সুজাতার বৃত্তাস্ত দেখ। বুদ্ধদেব যখন ৬ বৎসর ধরিয়া কঠোর তপশ্চৰ্য্যায় ত্রিময়মাণ হইয়া পড়িলেন, তখন কে তঁহকে অন্নদানে সজীব করিল ? -অম্বপালী গণিকা ৷ له বুদ্ধদেব যখন বৈশালীতে অম্বপালী গণিকার আম্রবনে বিশ্রাম করিতেছিলেন, এমন সময় অম্বপালী তার দর্শনার্থ আগমন করিল। তাহার বেশভূষা সামান্য, অথচ সুন্দর মোহন মূৰ্ত্তি ! তাহাকে দেখিয়া বুদ্ধেরও ক্ষণভর তাক লাগিয়া গেল। তিনি মনে মনে ভাবিলেন “স্ত্রীলোকটী কি পরমাসুন্দরী ! রাজ পুরুষেরাও ইহার রূপলাবণ্যে মোহিত ও বশীকৃত, অথচ এ কেমন সুধীর শান্ত, সচরাচর স্ত্রীলোকের ন্যায় যৌবন-মদ-মত্ত চপলস্বভাব নহে। জগতে এরূপ নারী-রত্ন দুর্লভ।” অস্বীপালী Yè)