পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

deb বৌদ্ধধৰ্ম্ম । সেই গৃহে মহা কলরব উপস্থিত। বুদ্ধ জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কিসের গোল, মনে হয় যেন মেছুনীদের মৎস্য চুরি গিয়াছে।” অনাথাপিণ্ডদ তাহার দুঃখের কাহিনী বুদ্ধের নিকট খুলিয়া কহিলেনঃ—“আমার একটি পুত্রবধু বড় ঘরের মেয়ে, সে আজ আমার বাড়ী আসিয়াছে। মেয়েটি বড় অবাধ্য, কাহারো কথা শুনে না, স্বামীর কথা মানে না, শ্বশুর শ্বাশুড়ীর অবমাননা করেবুদ্ধের পরেও তার কোন অনুরাগ নাই।” বুদ্ধ সুজাতাকে ডাকিয়া কহিলেন, “এস হে সুজাতা, কাছে এস।” সুজাতা নিকটে আসিলে বুদ্ধদেব কহিলেন, “সুজাতা, স্ত্রী সাত প্রকার,- কেহ ভীমা উগ্ৰচণ্ডা, কেহ কুটিলা কলহপ্ৰিয়া, কেহ প্ৰিয়ম্বদা, কেহ সুশীলা, কেহ সুগৃহিণী, কেহ প্ৰিয়সখী, কেহ সেবিকা। তুমি কোন ধরণের স্ত্রী ?” সুজাতা তখন তঁর মান অভিমান ভুলিয়া গিয়া উত্তর করিলেন, “প্ৰভু, যে প্রশ্ন করিতেছেন। আমি তার অর্থ বুঝিতে পারিলাম না—আমাকে বুঝাইয়া বলুন।” বুদ্ধ—“আমি তোমাকে বুঝাইয়া বলিতেছি, প্ৰণিধান পূর্বক শ্রবণ কর।” পরে তিনি সাত প্ৰকার স্ত্রীর বর্ণনা করিলেন,--অসতী স্ত্রী, চপলস্বভাবা, কুলকলঙ্কিনী, স্বামীকে যিনি ভাল বাসেন না, এই অঞ্চলা হইতে আরম্ভ করিয়া, উত্তম সতীলক্ষনী পতিব্ৰতা, পতি যার একমাত্ৰ ধন, যিনি দাসীর ন্যায় পতিসেবাতৎপর ও পতির একান্ত বাধ্য এবং আজ্ঞাবহ। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এই ‘সাত প্রকার স্ত্রীর মধ্যে তুমি কার মতন ?” তখন সুজাতার চৈতন্য হইল, তিনি কহিলেন, “ভগবন, আমাকে পতিব্ৰতা সূতী प्रौद्र भऊ মনে করুন, আমি অন্য কোনরূপ স্ত্রী হইতে ইচ্ছা করি নয়।”. .