পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । y এই সকল গল্পের স্রোতে অনেক দূৱ আসিয়া পড়িয়াছি, এখন ফিরিয়া গিয়া আসল কথা পাড়া কৰ্ত্তব্য। পূর্বে বলা হইয়াছে যে, বৌদ্ধ সঙ্ৰে স্ত্রীজাতির প্রবেশাধিকার অনেক সাধ্য সাধনার ফল। প্ৰথমে গৌতমী মহাপ্ৰজাপতি স্ত্রীলোকদিগের জন্য এই অধিকার প্রার্থনা করেন, কিন্তু তঁহার সেই আবেদন অগ্রাহ্যু হয়। পরে আনন্দ আবার এই প্ৰসঙ্গ উত্থাপন করিয়া বুদ্ধদেবের নিকট নিবেদন করিলেন, “স্ত্রীলোক । সন্ন্যাসধৰ্ম্ম অবলম্বন করিলে কি তাহার ফললাভে সক্ষম হয় না ? তাহারা কি আৰ্য্য মাগ অনুসরণ করিয়া অৰ্হৎ হইবার অধিকারিণী নহে ?” বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, “তাহারা অধিকারিণী, সত্য।” “তবে কেন মহাপ্ৰজাপতিকে সঙ্ঘভুক্ত করা না হয় ? ভগাবন, তিনি আপনার মাতৃবিয়োগে স্বীয় স্তন্যদুগ্ধ দিয়া আপনাকে লালন পালন করিয়াছেন, তিনি প্রভুর পরম ভক্ত, পরম উপকারিণী সেবিকা, তঁহাকে এ অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখা কি উচিত হয় ?” পরে বুদ্ধদেব বৌদ্ধ তপস্বিনীদের জন্য কতকগুলি নিয়ম বঁধিয়া দিলেন, তাহার সারাংশ এই যে, ভিক্ষুণীরা স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন না করিয়া সৰ্বতোভাবে ভিক্ষুমণ্ডলীর আজ্ঞাবহ থাকিবেন। মনুর - যে বিধান—“শৈশবে পিতার অধীন, যৌবনে পতির অধীন, বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের অধীন, স্ত্রীলোক কোন কালেই স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করিবেন না”-ভিক্ষুণীর প্রতি বুদ্ধানুশাসন ইহারই অনুযায়ী। সন্ন্যাসিনী হইয়াও স্ত্রীলোকের কোন বিষয়ে স্বাতন্ত্র নাই। তঁহাদের প্রতি যে অষ্টানুশাসন আছে, তাহা এই :- ১ । ভিক্ষুদিগকে সন্ত্রম ও ভক্তিশ্রদ্ধা করিবে।