পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । বৌদ্ধধৰ্ম্মের রূপান্তর ও বিকৃতি মহাযান ও হীনযান - W বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান দুই শাখা হীনযান ও মহাযান, ইতিপূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে। খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী পৰ্যন্ত এই দুই শাখার সৃষ্টি হয় নাই। রাজা কণিঙ্কের সময় হইতে এই প্ৰভেদের সূত্রপাত হয়। তিনি সংস্কৃত ভাষার পক্ষপাতী ছিলেন । দাক্ষিণাত্যে পালি যেমন শাস্ত্রীয় ভাষারূপে গৃহীত হইল, তিনি সেরূপ না করিয়া সংস্কৃত ভাষায় বৌদ্ধশাস্ত্র রচনার আদেশ করিলেন এবং সেই আদেশানুসারে র্তাহার জলন্ধর সভায় বৌদ্ধশাস্ত্রের ভাষ্যত্রয়, ১ । সূত্র পিটকের উপদেশ, ২। বিনয়-বিভাষা-শাস্ত্রী, ৩। অভিধৰ্ম্ম-বিভাষা-শাস্ত্ৰ, সংস্কৃতেই বিরচিত হয়। কণিক্ষের প্রবৰ্ত্তিত শাস্ত্ৰ মহাযান নামে অভিহিত এবং তঁহার প্রতিপক্ষ মত হীনযান বলিয়া পরিগণিত । দক্ষিণের বৌদ্ধর এই নামে আপনাদের পরিচয় দিতে প্ৰস্তুত কি না বলিতে পারি না-বৌদ্ধাচাৰ্য্য ধৰ্ম্মপাল এ বিষয়ের খাট খবর বলিতে পারেন। সে যাহা হউক, “মহাযান’ ‘হীনযান” এই নাম-করণ হইতে বুঝা যাইতেছে যে মহাযানীরা হীনযানকে