পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । আরোপিত। বজ্ৰপাণি বজুখির ইন্দ্ৰ অথবা শূলপাণি মহেশ্বর, সর্বশক্তির মুলাধার। বোধিসত্ত্ব-শ্রেণীর মধ্যে অবলোকিতেশ্বরের বিশেষ মাহাত্ম্য। তিনি করুণাণব, লোকপাল, সকলের শরণ্য সন্তাজনীয় দেবতা রূপে বাণিত । ফাহিয়ান, হুয়েন সাংএর ভ্ৰমণ বৃত্তান্তে বৌদ্ধক্ষেত্রে তাহার পূজার বহুল প্রচার লক্ষিত হয়। DDBD DBBL B g BDDDD BBBD DD BDBDBDS BBDDDBD অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় । ফাহিয়ান বলেন সমুদ্রে একবার ঝড় উঠিয়া তাঁহার জাহাজ ডুবিবার উপক্রম হইয়াছিল, তখন তিনি অবলোকিতেশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিয়া রক্ষা পাইলেন । চীন ও জাপানে অবলোকিতেশ্বরের করুণাময়ী নারীপ্ৰকৃতি কান ইন এবং কানন নামে অৰ্চিত হয়। ইহার উত্তরকালে একপ্রকার ধ্যানীবুদ্ধের সৃষ্টি হইল। ধ্যানীবুদ্ধ মনুষ্যবুদ্ধের অশরীরী প্ৰকৃতি, তাহারা অরূপ-লোকে বাস করেন। পঞ্চ অরূপ-লোকের অধিষ্ঠাতা পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধ। র্তাহারা প্ৰত্যেকে ধ্যানপ্ৰভাবে আত্ম-স্বরূপ হইতে এক একটি বোধিসত্ত্ব উৎসৃষ্টি করেন, আবার প্রত্যেক বোধিসত্ত্ব পৰ্য্যায়ক্রমে রূপলোক সৃষ্টি করিয়া থাকেন। এইক্ষণে চতুর্থ বোধিসত্ত্ব * অবলোকিতেশ্বরের অধিকার যাইতেছে,-আমাদের এই পৃথিবীর সৃষ্টিকৰ্ত্তা তিনিই। এই বহুদেবতার পূজায় পরিতৃপ্ত না হইয়া বৌদ্ধের ক্রমে এক আদিদেবে গিয়া পৌছিলেন, “ইনি নিত্য, নিরাকার, ন্যায় ও করুণার আধার, জ্ঞানময় আদি বুদ্ধ-ইনিই পরব্রহ্ম। নেপালী বৌদ্ধদের মধ্যে দশম শতাব্দে এই আদি বুদ্ধের প্রতিষ্ঠা হয়।