পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম। RVS) কপর্দকও নাই। শিক্ষা সমাপন করিয়া আমি চিরজীবন আপনার দাস হইয়া থাকিব” । অধ্যাপক জীবকের কথায় সন্তুষ্ট হইয়া উহাকে চিকিৎসা-শাস্ত্র পড়াইতে লাগিলেন। জীবক ক্ৰমান্বয়ে সাত বৎসর অধ্যয়ন করিয়া চিকিৎসা-শাস্ত্ৰে বুৎপত্তি লাভ করিলেন । তখন অধ্যাপক তাহার অভিজ্ঞতা পরীক্ষা করিবার জন্য বলিলেন, “এই বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে ষোল মাইলের মধ্যে যে সকল লতা ও বৃক্ষ আছে, উহার মধ্যে যেগুলি চিকিৎসায় প্ৰয়োজন হয় না, সেইগুলি অনুসন্ধান করিয়া আন” । চারিদিন পরে জীবক অধ্যাপকের সমক্ষে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “মহাশয়, ঔষধে প্ৰয়োজন হয় না, এমন লতা পাইলাম না”। অধ্যাপক প্রীত হইয়া জীবককে গৃহে যাইতে অনুমতি করিলেন। জীবক মগধে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কালে একদিন শাকেত ( অযোধ্যা ) রাজ্যে অবস্থিতি-করেন। তথায় কোন রমণীর ঘোর শিরঃপীড়া হইয়াছিল। জীবক একটু মাখন উত্তপ্ত করিয়া উহার সহিত একটি ঔষধ মিশ্রিত করেন, এবং উক্ত রমণীকে এই মিশ্রিত দ্রব্যের নস্য লইতে বলেন-তাহাতেই তাহার শিরঃপীড়ার শান্তি হইল। রাজগৃহে আসিয়া জীবক রাজা বিম্বিসারকে কোনও দুশ্চিকিৎস্য রোগ হইতে মুক্ত করিয়া বহু ধনরত্ন পুরস্কার পাইয়াছিলেন । বারাণসী এবং উজয়িনীতেও তিনি অনেকের চিকিৎসা করেন। রাজগৃহে অস্ত্ৰ-চিকিৎসাতেও তিনি সুনাম অর্জন করিয়াছিলেন । তথাগাতের বুদ্ধত্ব লাভের বিংশতি বৎসর পরে জীবক বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। বুদ্ধদেব তঁহার চিকিৎসায় অনেক সময়