পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম Rbrid হয়ত এই ত্ৰিভাষ্য এখনও পৰ্য্যন্ত ভূগর্ভে নিহিত আছে, ঐ স্থানে খনন করিতে করিতে ঐ বহুমূল্য তাম্রপাত্ৰ গুলি আবিষ্কৃত হইয়া বৌদ্ধ-সমাজে প্ৰচারিত হইতে পারেআশ্চৰ্য্য কি ? চীনদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম - ৬১ খৃষ্টাব্দে চীনদেশে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রকৃত পত্তন হয়। প্ৰবাদ এই যে, তখনকার সম্রাট মিং-তি স্বপ্ন দেখেন একটি সোণার দেবতা তাহার প্রাসাদে অবতীর্ণ হইয়াছেন- এইরূপ স্বপ্ন দেখিয়া তাহার অর্থ মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন । মন্ত্রী এই অর্থ করেন যে পশ্চিমাঞ্চলে বুদ্ধদেবের আবির্ভাব হইয়াছে, হয়ত তাহার সঙ্গে এই স্বপ্নের কোন যোগ থাকিবে । চীন সম্রাট বুদ্ধের আসল তথ্য জানিবার নিমিৰ্ত্ত ভারতে দূত প্রেরণ করেন। দূতগণ দুই জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও পুথি ছবি প্ৰভৃতি কতকগুলি জিনিস লইয়া প্ৰত্যাগমন করেন । সম্রাট ভিক্ষুদের উপদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া তাহার রাজধানীতে এক বৌদ্ধ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিলেন । সেই সময় হইতে চীন দেশে অল্পে অল্পে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার হইতে লাগিল। পঞ্চম শতাব্দীতে বৌদ্ধ-সন্ন্যাসী কুমারজীব অপর ৮০০ ভিক্ষুক সাহায্যে চীন ভাষায় বৌদ্ধশাস্ত্ৰ অনুবাদ করেন। বুদ্ধঘোষ-রুত বুদ্ধচরিত কাব্য উদীচ্য Liang ংশের রাজত্বকালে খৃঃ ৪১৪ হইতে ৪২১ অব্দ মধ্যে ধৰ্ম্মরক্ষক নামক পণ্ডিত কর্তৃক চীন ভাষায় অনুবাদিত হয়। চীন পরিাব্ৰাজক হুয়েন সাং তঁহার ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে, চারিটি