RONU বৌদ্ধধৰ্ম্ম। উপসংহার।-- গৌতম। যদি শুধু দর্শন শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াই ক্ষান্ত থাকিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহার ধৰ্ম্ম প্রচারে কৃতকাৰ্য্য হইতেন কি না। সন্দেহ । ন্যায় সাংখ্য বেদান্তাদি ষড় দর্শনের পাশে হয়ত বৌদ্ধ দর্শন সাত ভাইয়ের এক ভাই বলিয়া গণ্য হইত, আর কিছু নয়। সেইরূপ, আবার বৌদ্ধ নীতিশাস্ত্রবলেও হিন্দু সমাজ বিকম্পিত হইত না। জাতি বর্ণ ছোট বড় বিচার না করিয়া বুদ্ধদেব সাধারণ সকল মনুষ্যের উপযোগী বিশুদ্ধ ব্যবহারধৰ্ম্মের শিক্ষা ও উপদেশ দিয়াছেন সত্য বটে, কিন্তু তাহার উপদিষ্ট নীতিশিক্ষা ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মশাস্ত্রেরও অঙ্গীভূত, সেরূপ উচ্চ শিক্ষার গুণে র্তাহার ধৰ্ম্ম প্রচারের বিশেষ সাহায্য হইবারও সম্ভাবনা ছিল না । বাকী রহিল বিনয়-শাস্ত্র নিয়মে বৌদ্ধ-সমাজ বন্ধন, এক কথায় ‘সঙ্ঘ”- এই এক শক্তি বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিস্তারের মুখ্য সাধন বলিয়া প্ৰতীয়মান হয়। তাহ চাড়া, সেই সময়কার রাজকীয় অবস্থাও এই নূতন ধৰ্ম্ম বিস্তার পক্ষে অনুকুল বলিতে হইবে। (নানাদিক হইতে নানা প্ৰকার শক্তি আসিয়া তখন ভারতের পরিবর্তন সাধন করিয়াছিল। আমরা দেখিতে পাই যে, তৎকালে দেশীয় আচার বিচারের অনেক পরিবর্তন আরম্ভ হইয়াছে। বৈদিক ধৰ্ম্ম কতকগুলি কৰ্ম্মজালে। আচ্ছন্ন হইয়া নিম্প্রভ হইয়া গিয়াছে । সেই সময় আবার সেকনদর-স্যা’র ভারত আক্রমণ হইতে যবন আধিপত্যের সূত্রপাত ; অবশেষে গ্ৰীক প্ৰতাপ রোধ করিয়া মৌৰ্য্যবংশীয় শূদ্র রাজাদের অভু্যুদয় । সেকন্দর এদেশে কোন চিরস্থায়ী কীৰ্ত্তি রাখিয়া যাইতে পারেন নাই। তিনি এদেশ
