পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(སྨོ ། BIR ছাড়িয়া চলিয়া যাইবার কিছুদিন পরে চন্দ্ৰগুপ্ত চাণক্যের সাহায্যে নন্দবংশ ধবংস করিয়া মগধ রাজ্য অধিকার করেন । চন্দ্ৰগুপ্ত জাতিতে শূদ্র ছিলেন। মৌৰ্য্যবংশীয় শূদ্র রাজাদের রাজত্ব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বৌদ্ধধৰ্ম্মের অভু্যদয় ও বিস্তার। মৌৰ্য্য বংশীয় রাজাদের এই ধৰ্ম্মের প্রতি আন্তরিক টান থাকা স্বাভাবিক । ভারতে এ দুইই নূতন শক্তি, উভয়েই ব্ৰাহ্মণোর বিরোধী— বৈদিক ধৰ্ম্মাসনে বৌদ্ধধৰ্ম্ম-ক্ষত্ৰিয়ের আসনে শূদ্র রাজা । শীঘ্রই এই দুই দলের মধ্যে সখ্য বন্ধন হইল। অশোক রাজা বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ ও পোষণ করিয়া তাহার ধৰ্ম্মানুরাগ এবং রাজকীয় দূরদর্শিতা দুয়েরই পরিচয় দিলেন। দূর দূরস্থিত রাজাদের সহিত অশোকের মিত্ৰতা-বন্ধন এই ধৰ্ম্ম প্রচারের আনুষঙ্গিক ফল । তঁহার পুত্ৰ মহেন্দ্ৰকে দিয়া দাক্ষিণাত্যে ও তিনি তঁাহার ধৰ্ম্মাধিকার বিস্তার করিলেন । পরে একদিকে যেমন মৌৰ্য্যবংশের অবনতি হইল, অন্যদিকে, অর্থাৎ ভারতের উত্তর খণ্ডে, কয়েক শতাব্দী ধরিয়া গ্ৰীক, পাৰ্থিয়ান শকজাতির প্রভুত্ব বিস্তার হইতে চলিল। বৌদ্ধধৰ্ম্ম এই রাজ্য-বিপ্লবের ফলভাগী হইলেন। ব্ৰাহ্মণ্য কেবল হিন্দু জাতিতেই আবদ্ধ, বৌদ্ধধৰ্ম্ম সকল জাতির সাধারণ সম্পত্তি । যবন রাজাদের সঙ্গে উত্তর হইতে যে সকল অসভ্য জাতি ভারতে প্ৰবেশ করিল, বৌদ্ধধৰ্ম্ম তাহদের আদরের বস্তু হইয়া দাড়াইল । তা ছাড়া অশোকের প্রতাপে যেমন দাক্ষিণাত্য বিজিত হইয়াছিল, ঐ সকল রাজার প্রভুত্ববলে তেমনি হিমালয়ের ওদিককার প্রদেশ, আফগানিস্থান, বাক্তিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে তাহার প্রবেশ-পথ উন্মুক্ত হইল।