\S8 বৌদ্ধধৰ্ম্ম । মিলনের উপায় অন্বেষণ করিতেছেন, অর্থাৎ বৈদান্তিক মতে জীবাত্মার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব গিয়া, সে ব্রহ্মেতে কিসে লয় প্রাপ্ত DBBD KBSBDDBD DBBDDS KK DDBBD SzBDD BDJS গৌতমের প্রতি তঁহাদের প্রশ্নও তদনুযায়ী। বুদ্ধদেব যে উপায় বলিয়া দিলেন, যে পথ প্রদর্শন করিলেন, তাহাধৰ্ম্মনীতিসূচিত সহজ-মার্গ। আত্মসংযম-বিষয়বাসনা বিসর্জন-সন্ন্যাসগ্রহণ— চরিত্ৰশোধা-সার্বভৌম মৈত্রী মমতা-এতদ্ভিন্ন ব্ৰহ্মলাভের কোন ঐন্দ্ৰজালিক উপায় নির্দিষ্ট হয় নাই। এই সূত্রে ব্রহ্মের সহিত মিলনের কথা, যাহা প্রশ্নোত্তরে ব্যক্তি হইয়াছে, তাহার অর্থ কি ? বৌদ্ধধৰ্ম্মমতে তাহার অর্থ ঠিক করা সহজ নহে। ইহা মনে রাখা কৰ্ত্তব্য যে, বুদ্ধের সময় পৌরাণিক ব্ৰহ্মা জন্মগ্রহণ করেন নাই। বেদান্ত ও উপনিষদের ব্ৰহ্ম আর বৌদ্ধ ব্ৰহ্মা যে একই, এমনও মনে করিবেন না। নাম এক হইতে পারে, কিন্তু ভিন্নার্থে প্রয়োগ সন্দেহ নাই । আৰ্য্যধৰ্ম্ম প্ৰকৃতি-পূজা হইতে আরম্ভ করিয়া শেষ মঞ্চে এক ব্ৰহ্মের উপাসনায় বিশ্রাম লাভ করিয়াছে। কিন্তু বৌদ্ধধৰ্ম্মে এই বৈদান্তিক ব্ৰহ্মোপাসনার ভাব গৃহীত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না। ব্ৰহ্মবিদ্যার কথা দূরে থাকুক, বৌদ্ধধৰ্ম্ম দেহাভ্যন্তরে আত্মার পৃথক সত্তাই স্বীকার করেন না, অথচ দেখিতে গেলে হিন্দুধৰ্ম্মের দেবদেবীর নাম, দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস তাহার মধ্যে কতক অংশে স্থান পাইয়াছে-এই দুই ভিন্ন জিনিস, ৰিভিন্ন ভাবের সামঞ্জস্য করা এক বিষম সমস্যা । বৈদিক দেবতাগণ বৌদ্ধধৰ্ম্মে সাধুপুরুষের স্থান অধিকার
