পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&३७ বৌদ্ধধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম প্রচারে উৎসাহিত করেন। আবার কথিত আছে, বুদ্ধদেবের মৃত্যুকালে যে গগনভেদী গভীর শোকান্ধবনি সমুখিত হয়, ব্ৰহ্মা সহাস্পপতির কণ্ঠ হইতে প্ৰথমে সে বাণী উদগীরিত হইয়াছিল, ও পরবর্তী কালে একবার বৌদ্ধধৰ্ম্ম-সমাজে বিপ্লব উপস্থিত হইলে, ব্ৰহ্মা স্বৰ্গ হইতে অবতীর্ণ হইয়া বৌদ্ধনেতৃবর্গের মধ্যে সম্ভাব ও শান্তি স্থাপনপূর্বক সে বিপ্লব প্রশমন করেন। এই সমস্ত উদাহরণ হইতে বৌদ্ধজগতের সহিত ব্ৰহ্মার কি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, তাহা সহজেই উপলব্ধি হয়। শুধু এই মৰ্ত্ত্যলোক নয়, কিন্তু অনন্ত আকাশের স্থানে স্থানে যে লোক-পুঞ্জ অবস্থাপিত, এক একজন ব্ৰহ্মা তাহার অধিপতিরূপে কল্পিত দেখা যায় । এই ব্ৰহ্মার সহিত মিলন আর বৈদান্তিক ব্ৰহ্মেতে জীবাত্মার বিলীন হইবার ভাব যে একই, তাহা কে বলিবে ? বৌদ্ধমতে সে মিলনের অর্থ ব্ৰহ্মলোকে ব্ৰহ্মার সহিত একত্ৰ সহবাস ভিন্ন আর কিছুই কল্পনা করা যায় না। কিন্তু এই সহবাস-লাভ বৌদ্ধধৰ্ম্মের সর্বোচ্চ আদর্শ নহে; বৌদ্ধমতে মনুষ্যজীবনের পরম গতি-চরম লক্ষ্য স্বতন্ত্র, বৌদ্ধধৰ্ম্মের সার উপদেশ এই যে, প্ৰত্যেক মনুষ্য নিজ কৰ্ম্মগুণে, নিজ পুণ্যাবলে, আত্মপ্ৰভাবে, স্বার্থবিলুৰ্জনে, সত্যোপার্জনে, প্ৰেম, দয়া, মমতা বৰ্দ্ধনে, ইহজীবনে অথবা পরলোকে নির্বাণীরূপ পরমপুরুষাৰ্থ সাধনে সমর্থ i এই নির্বাণমুক্তি কি-আলো কি অন্ধকার-জাগরণ কি मशनिश-अनख्-चौवन कित्र ब्रिश्ङ्ग-आंत्रऊ-बृांनन्न अबब চেতনাশূন্য মহানির্বাণে জীবাত্মার অস্তিত্বলোপ -এই নিৰ্বাণ