পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । হইতে মণিমুক্তা আভরণ সকল খুলিয়া, ছন্দকের হস্তুে দিয়া কঢ়িলেন, “ছন্দক, এই সমস্ত আভরণ নাও, আর কণ্টককে লইয়া বাড়ী ফিরিয়া যাও ; আমি এ স্থান হইতে প্ৰস্থান করিলাম”। ছন্দক বিস্তর অনুনয় বিনয় করিয়া কহিল, “প্ৰভু ! আমাকে ফিরাবেন না, আমিও গৃহত্যাগী হইয়া আপনার অনুগামী হইব” । কিন্তু সিদ্ধার্থ তাহার কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া, তাহাকে ফিরিয়া যাইতে পুনঃ পুনঃ আদেশ করিলেন, বলিলেন “তোমার এখনো সন্ন্যাস গ্রহণের সময় হয় নাই, তুমি না ফিরিলে আমি কোথায় নিরুদেশ হইয়া গিয়াছি মনে করিয়া আমার পিতা ও বাড়ীর আর সকলে কি ভাবিবে ? তুমি যাও, এবং রাজবাটীর সকলকে বল আমার সমস্তই মঙ্গল। আমি বহুকাল ধরিয়া যে প্ৰতিজ্ঞা হািদয়ে পোষণ করিয়াছি, এক্ষণে डॉश °द्वान् করিতে চলিলাম, আমার অভীষ্ট সিদ্ধি হইলেই আমি বাড়ী ফিরিব, আমার জন্য কেহ যেন চিন্তাকুল না হন ।” কুমারের আদেশক্ৰমে ছন্দক অগত্যা অশ্ব ও আভরণ লইয়া শোকার্তহৃদয়ে রাজভবনে ফিরিয়া গেল, এবং রাজাকে সংবাদ দিল যে, যুবরাজ গৃহত্যাগী হইয়া সন্ন্যাসীবেশে কোথায় চলিয়া গেলেন তাহার কোন ঠিকানা নাই । গৌতম ছন্দককে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া আশ্রম হইতে আশ্রমান্তরে বিশ্রাম করতঃ পরিশেষে মগধ-রাজধানী রাজগৃহে আসিয়া উপস্থিত হন। বিম্বিসার তখন ঐ প্রদেশের প্রবলপ্ৰতাপ নরপতি ছিলেন । সিদ্ধার্থ নগরে ভিক্ষা করিয়া নিজের আহার সংগ্ৰহ করিতেন। তঁহার শরীরে অলোকসামান্য