পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । , २> হয়, এবং দৈবশক্তি, অন্তদৃষ্টি লাভ ও প্রভুত পুণ্যসঞ্চয় করা যায়। আলাড় ও রুদ্রকের নিকটে দর্শন শিক্ষা করিয়াও গৌতম যখন সন্তোষ লাভ করিতে পারিলেন না, তখন তিনি স্থির করিলেন যে, একান্তে অবস্থানপূর্বক সেই লোকবিশ্রাত পদ্ধতি তিনি কি ফল লাভ করিতে পারেন। তদনুসারে তিনি বৰ্ত্তমান বুদ্ধগয়ার মন্দিরের সন্নিকট উরুবেল বনে গমন করিয়া, নৈরঞ্জনা নদীতীরে পাঁচজন অনুরক্ত শিষ্যের সাহচর্য্যে ছয় বৎসর যাবৎ ঘোরতর তপশ্চরণে প্ৰবৃত্ত হইলেন। “শূন্যে আলম্বিত বৃহৎ ঘণ্টাধ্বনির ন্যায়” তাহার এই তপস্যার খ্যাতি চতুর্দিকে রাষ্ট্র হইয়া গেল। এই কঠোর তপশ্চরণে র্তাহার মুখবিবর ও নাসিকারন্ধ হইতে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিরুদ্ধ হইল। ক্রমে তাহার কর্ণাছিদ্র রুদ্ধ হইল। তিনি তঁহার আহার সংযত করিয়া আনিলেন, এমন কি শেষে একটিমাত্র তণ্ডুল ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিতেন, এবং এইরূপ উপবাস ও শরীর শোষণে অস্থিচৰ্ম্মসার হইয়া গেলেন । অবশেষে একদিন চিন্তামগ্ন চিত্তে ধীরে ধীরে পদচারণা করিতে করিতে তিনি হঠাৎ মূচ্ছিত হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন। শিষ্যদিগের মধ্যে কেহ কেহ মনে করিল যে তঁহার যথার্থই মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু ক্ৰমে তিনি সংজ্ঞা লাভ করিলেন। এই অবস্থায় একটি রাখাল বালক তঁহাকে এক বাটী দুগ্ধ আনিয়া দিল, সেই দুগ্ধ পান করিয়া তিনি কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইলেন। এই প্রকার তপশ্চৰ্যার দ্বারা কাঙিক্ষত ফল লাভে হতাশ হইয়া পূর্ববৎ