পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় বৌদ্ধ শিল্প বৌদ্ধশিলপ বৌদ্ধধমের উদার উৎস হইতে উৎসারিত হইয়াছিল। এই শিল্পের যে নিদর্শন এক্ষণে আমরা ভারতবর্ষের সব্বত্রই দেখিতে পাইতেছি উহা হইতে আমরা নিঃসন্দেহ বুঝিতে পারি যে, ভারতব্যাপী এক উদার ধমের সমবায়ে এক সময়ে এই দেশে স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য্য ও চিত্রশিল্পের অসামান্য অভু্যত্থান হইয়াছিল। বৌদ্ধযুগের পবেও ভারতবর্ষে চিত্রশিল্পের চাচা ছিল। তখন শিল্পের কতদর উন্নতি হইয়াছিল তাহা প্রত্নতত্তরবিৎদিগের আলোচ্য। অজন্তা, সাঁচি, ভারহত, করালী, নালন্দা, সারনাথ, গয়া প্রভৃতি নানাস্থলে এক্ষণে বৌদ্ধশিলেপর যে সকল ধংসাবশেষ দৃষ্ট হইতেছে সেই সকলের মধ্যে বৌদ্ধশিল্পের আশ্চৰ্য্য উন্নতির পরিচয় প্রাপ্ত হইয়া আধুনিক যুগের সপ্রসিদ্ধ চিত্রশিপিগণ বিস্ময় প্রকাশ করিতেছেন। কত শিল্পী তাঁহাদের আজীবনের সাধনার দ্বারা এক একটি মন্দির বা গহা চিত্ৰশোভিত করিয়াছেন তাহা ভাবিলে বিস্ময়ান্বিত হইতে হয়। ভারত-শিল্প যাঁহারা অপোধিক আলোচনা করিয়াছেন তাঁহারা জানেন, এই দেশের শিল্পীরা কোন বস্ত বা ব্যক্তির আকৃতির হীন অনুকরণকে আপনাদের কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করেন নাই। বিশ্বপ্রকৃতি তাহার অঞ্চলতলে, যে সষমা প্রচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছেন, শিপী রেখাপাতে বা বর্ণভঙ্গে তাহাই দশকের সম্মখে উপস্থাপন করিয়া থাকেন। রাপের সঙ্গে রাপের সাদৃশ্য ভারতীশপের প্রধান লক্ষ্য নহে, উপলক্ষ্য মাত্র। বাহিরের রপকে ভিতরের ভাবের সহিত মিলাইয়া এবং ভিতরের ভাবকে বাহিরের রাপে ফটাইয়া তোলাই ভারতশিল্পের 이