পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় సెసె আর্টের দিক দিয়া বিচার করিলে বটতলার উপন্যাস যেমন কুৎসিত রবিবামার দেবদেবী মাত্তিও তেমন কুৎসিৎ । শুধ শরীর যেখানে, শরীরের পশ্চাতে গভীরতর কোনো সত্যের মধ্যে শরীরের অথটি যেখানে পাই না, সাধর অতীন্দ্রিয়পরতা, নীতিবাদীর শ্লীলতাবোধের দিক হইতেও উহা যেমন হেয়, শিল্পীর সৌন্দৰ্য্যবোধের দিক হইতেও তেমনি । উলঙ্গ রমণীর আত্মার কথাটিকে ব্যক্ত করিয়া যে শিল্পী উলঙ্গ রমণীর চিত্র অকিয়াছেন, তিনি উলঙ্গ রমণীকে দন্ট-দটি দিয়া দেখেন নাই, সাধর দটি দিয়াও দেখেন নাই, তিনি দেখিয়াছেন ঋষির দটি দিয়া। তিনি উলঙ্গ করিয়াছেন ভগবৎ সত্যকে । উলঙ্গ নারীর চিত্র আমাদিগকে বিচলিত করিতে পারে। কিন্ত সেইজন্য উহাতে যে সত্য, যে সৌন্দৰ্য্য প্রস্ফটিত হইয়াছে, তাহার উপভোগ হইতে বিরত থাকিব কেন ? ইন্দ্রিয়কে দমন করিতে যাইয়া ইন্দুিয়ের সত্য ভোগকে নিববসিত করিব কেন ? ইন্দ্রিয়ের যে বাহ্য বিক্ষোভ তাহার ভয়ে ইন্দ্রিয়ের দেবতাকে অস্বীকার করা সত্যানভূতিরই অন্তরায় । সাধনার দিক হইতেও আর্টের যে কোনো মল্য নাই এমন নহে । তবে শিল্পীর পথ ও সাধ বা ধামিকের পথ এক নহে। সাধর পথ "ইহা নয়" ইহা নয়”। শিল্পীর কথা "ইহাই” “ইহাই”। সাধ চাহেন ইন্দ্রিয়কে দমন রাখিয়া ইহাকে দরে করিয়া শধ্যে অতীন্দ্রিয়ে পেপছিতে অথবা ইন্দ্রিয়ের কোন এক নিদিষ্ট ভঙ্গী বা প্রকরণের মধ্যে আবদ্ধ থাকিতে। শিল্পী চাহেন ইন্দ্রিয়ের বিশ্বভূতির মধ্যেই অতীন্দ্রিয়কে বোধ করিতে। আচার নিয়মের মধ্যে সাধন ধৰ্ম্মজীবন গঠিত করিতে চাহেন, শিল্পীর আচার নিয়ম নাই। প্রথম হইতেই তিনি আপনাকে মন্ত বলিয়া মানিয়া লন। এই শ্রদ্ধাটুকু সব্বদার জন্য ধরিয়া রাখিতে পারলে তিনি মুক্ত হইতে পারেন। আর্ট হইতেছে দটির Revelation. এই দটি বস্তর অন্তরতম রহস্যের সহিত সাক্ষাৎভাবে আমাদের এক সহজ পরিচয় স্থাপন করাইয়া দেয়। অনেক সময়ে অজানিত ভাবেই আর্টের সাহায্যে বস্তর