পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՕՀ বৌদ্ধ-ভারত অংশগলি তিনি উপেক্ষা করিয়া থাকেন। এই বাহুল্যবজিত সরলতা ভারত-শিল্পের প্রাণ, অনাবশ্যক রেখাঙ্কনে, অতিরিক্ত বণলেপনে ভারতশিল্পী তাহার চিত্র জটিল করিয়া তুলেন না। বিদেশীয় চিত্রশিল্পের বণ"চছটা যাহাদের চক্ষ বিভ্রান্ত করিয়া রাখিয়াছে তাহারা ভারতীয় শিলেপর ভাবগ্রহণে অসমর্থ হইয়া এই শিপের নিন্দা করিয়া থাকেন । খস্টপব্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে সসভ্য গ্রীকগণ ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। ঐ সদর অতীতকালে ভারতবর্ষে দই সসভ্য জাতির সন্মিলন হইয়াছিল । ইহার ফলে এই দুই সদসভ্য জাতি পরপরের জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা করিয়া উপকৃত হইয়াছিলেন। কিন্ত সপডিত ঐতিহাসিকগণ বলেন, শিল্পবিদ্যার জন্য ভারতীয় হিন্দরা গ্রীকদের নিকট ঋণী নহেন। গ্রীকদের আগমনের বহন পর্বে হইতেই ভারতীয় হিন্দ ও বৌদ্ধগণ তাহাদের শিল্পবিদ্যায় উন্নতিলাভ করিয়া উহার উপরে আপনাদের নিজস্ব প্রতিভার ছাপ অঙ্কন করিয়া দিয়াছিলেন। গান্ধার ও পাঞ্জাবে স্তম্ভশিলেপ গ্রীক শিল্পের পরিচয় পাওয়া যায় বটে, কিন্ত সবিস্তৃত ভারতবর্ষের অপর কোনস্থলে গ্রীকশিল্পের নিদশন দন্ট হয় না। গ্রীকশিল্পীর শিক্ষালয়ে ভারতবর্ষ যদি শিল্পবিদ্যা শিক্ষা করিতেন তাহা হইলে এইরুপ হইতে পারিত না । পাঞ্জাব ব্যতীত ভারতের অপর কোন স্থলে গ্রীক-ভাস্কয্যের নিদর্শন দন্ট হয় না। ডাক্তার ফাগাসন ভারহ্যত স্তুপের, বেষ্টনীর ভাস্কৰ্য্য দর্শনে বিস্ময়াবিল্ট হইয়া এই মন্তব্য করিয়াছেন,—“এই স্থলে যে ভাস্কৰ্য্যবিদ্যার পরিচয় রহিয়াছে তাহা যে ভারতীয় ইহা একান্ত দঢ়তার সহিত বলা যাইতে পারে। ইহার মধ্যে মিশরশিল্পের বিন্দমাত্র প্রভাব লক্ষিত হয় না। এই শিল্প জটিলতাবজিত । বাবিলন বা আসিরিয়ার শিল্পপ্রভাব এতন্মধ্যে দন্ট হয় না। এখানে স্তম্ভের মস্তকদেশে যে সকল আলঙ্কারিক কাৰ্য্য আছে তাহার সহিত গ্রাঁকশিল্পের সাদৃশ্য নাই। এখানে যে শিল্পবিদ্যার পরিচয় রহিয়াছে