বৌ-ঠাকুরাণীর হাট $సె4
মোহন কহিল—“মার্জনা আর করিলেন কই ?” বিভা কহিল—“মোহন আমি কেবল একবার তাহাকে দেখিতে যাইব ।” বলিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে কাদিয়া উঠিল ।
রামমোহন চোখ মুছিয়া কহিল—“আজ থাক ন, মা ।” বিভ কহিল—“না মোহন, আমি আজই একবার তাহাকে দেখিয়া আসিব ।”
রামমোহন কহিল—“যুবরাজ আগে গ্রাম হইতে ফিরিয়া আস্থন ।” বিভা কহিল—“ন মোহন, আমি এখনি একবার যাই ।” বিভা মনে করিয়াছিল, উদয়াদিত্য এ সংবাদ শুনিলে অপমানের ভয়ে পাছে না যাইতে দেন ।
রামমোহন কহিল—“তবে একখানি শিবিকা আনাই ।” বিভা কহিল—“শিবিক কেন ? আমি কি রাণী যে শিবিক চাই ! আমি একজন সামান্য প্রজার মতে, একজন ভিখারিণীর মতো যাইব— আমার শিবিকায় কাজ কী ?”
রামমোহন কহিল—“আমার প্রাণ থাকিতে আমি তাহা দেখিতে পারিব না ।” ^
বিভা কাতর স্বরে, কহিল—“মোহন, তোর পায়ে পড়ি আমাকে আর বাধা দিস নে—বিলম্ব হইয়া যাইতেছে!”
রামমোহন ব্যথিত হৃদয়ে কহিল—“আচ্ছা মা, তাহাই হউক্ ৷” বিভা সামান্য রমণীর বেশে নৌকা হইতে বাহির হইলু। নৌকার ভূত্যেরা আসিয়া কহিল—“এ কি মা, এমন করিয়া এ বেশে কোথায়
যাও ।”
রামমোহন কহিল—“এ তো মাযেরই রাজ্য,যেখানে ইচ্ছা সেইখানেই যাইতে পারেন !”
ভূত্যের আপত্তি করিতে লাগিল,রামমোহন তাহাদের ভাগাইয়া দিল।
পাতা:বৌ-ঠাকুরাণীর হাট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৫
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
