- 역 বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
রত্বের মতে জমা করিয়া রাগিয়াছিলেন, তাহাই আজ একে একে স্থরমার
কাছে বাহির করিতে লাগিলেন ।
স্বরম কহিল, “আ—হ, দাদামহাশযের মতো কি আর লোক আছে? স্বরম ও উদয়াদিত্য বিভীর সবে গেলেন । তখন বিভা তাহার দাদ। মহাশয়ের পাকা চুল তুলিতেছে ও তিনি
বসিয়া গান গাহিতেছেন ,—
"ওরে, যেতে হবে, অব দেবী নাই, পিছিয়ে পডে রবি কত, সঙ্গীরা তোর গেল, সবাই । আয়রে ভবের থেলা সেরে, আঁধার করে এসেছেরে,
( ওরে ) পিছন ফিরে বাবে বারে কাহাব পানে চাহিস্ রে ভাই । খেলতে এল ভবের নাটে, নতুন লোকে নতুন থেল',
হেথা হতে আয়রে সরে, নইলে তোরে মারবে ঢেল, aমামিয়ে দেরে প্রাণের বোঝ, আবেক দেশে চলরে সোজ,
( সেখা) নতুন করে বাধবি বাসা, নতুন খেল খেলবি সে ঠাই ।”
উদয়াদিত্যকে দেখিষা বসন্তবায় হাসিয়| কহিলেন, “দেখে ভাই,বিভ আমাকে ছাড়িতে চায় না। কী জানি আমাকে উহার কিসের মাবস্তক এক কালে যে দুধ ছিল, বড় হইয়া সে ঘোল হইয়। উঠিয়াছে, তা, বিভ দুধের সাধ ঘোলে মিটাইতে চায় কেন ? আমি যাব শুনিয়া বিভ কাদে ! এমন আর কখনো শুনিয়াছ ? আমি ভাই, বিভার কায় দেপিতে পারি না।” বলিয়া গাহিত্তে লাগিলেন,
“আমার যাবার गभग হল, আমায় কেন রাখিস ধরে, চোখের জলের বাধন দিয়ে বাধিস্নে আর মায়া-ডোরে।
পাতা:বৌ-ঠাকুরাণীর হাট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৮৪
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
