?७२ বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
যুবরাজ কৰ্ম্মচু্যত প্রহরীদ্বয়কে মাসিক বৃত্তি দিতেছেন, এষ্ণপ্রর্তাপদিত্যের কানে গেল। আগে হইলে যাইত না । আগে তিমি উদয়দিত্যকে এত অবহেলা করিতেন যে উদয়াদিত্য সম্বন্ধে সকল কথ। তাহার কানে যাইত না । মহারাজ জানিতেন যে, উদয়াদিত্য প্রজাদের সহিত মিশিতেন, এবং অনেক সময়ে প্রজাদের পক্ষ অবলম্বন করিয। তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছেন, কিন্তু সেগুলি প্রায় এমন সামান্য ও এমন অল্পে গুয়ে তাহা তাহার সহিয়। আলিমাছিল যে, বিশেষ একটা কিছু ন হইলে উদয়াদিত্যের অস্তিত্ব সম্বন্ধে তাহাব মনোযোগ আকর্ষণ কবিতে পারিত না । এইবার উদয়াদিত্যের প্রতি তাহল একটু বিশেষ মনোধো পড়িয়াছে, তাই উপরি-উক্ত ঘটনাটি অবিলম্বে তাহার কানে গেল o শুনিয়া প্রতাপাদিত্য অত্যন্ত রুষ্ট হইলেন। উnয়াদিত্যকে ডাকাইয়। অনিলেন, ও কহিলেন, “আমি যে সীতাবামকে ও ভাগবতকে কৰ্ম্মচুত করিলাম, সে কি কেবল রাজকোষে তাহদের বেতন দিবার উপযুক্ত অর্থ ছিল নবিলিয়। ? তবে যে তুমি নিজেব হইতে তাহদের মাসিক বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছ ?”
উদয়াদিত্য ধীরে ধীরে কহিলেন, “আমি দোষী। আপনি তাহদের تپه
দণ্ড দিয়া আমাকে দণ্ডিত করিয়াছেন । আমি আপনার সেই বিচার অনুসারে মাসে মাসে তাহাদের নিকট ও দিয়া থাকি !”
ইতিপূৰ্ব্বে কখনই প্রতাপাদিত্যকে উদয়দিত্যের কথা মনোযোগ দিয়৷ শুনিতে হয় নাই। টদয়াদিত্যের ধীর গম্ভীর বিনীত স্বর ও র্ত্যহাব সুসংযত কথাগুলি প্রতাপাদিত্যের নিতান্ত মন্দ লাগিল না। উদয়াদিতে্যুব কথার কোনে উত্তর না দিয় প্রতাপাদিত্য কহিলেন, “আমি জাদেশ করিতেছি, উদয়, ভবিষ্যতে তাহাদের যেন আর অর্থ সাহায্য না করা रुम्न !”
উদয়াদিত্য কহিলেন, “আমার প্রতি আহ্লে কুতর শাপ্তির আদেশ
পাতা:বৌ-ঠাকুরাণীর হাট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৯২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
