করিবে। চস্মাটা চোখে তুলিয়া পরিলেন এবং বােতাম খুলিতে ও পরিতে লাগিলেন।
রমাই কহিল, “উৎসব স্থলে যাইতে সেনাপতি মহাশয়ের কোন আপত্তি থাকিতে পারে না, কারণ এ ত আর যুদ্ধস্থল নয়!”
রাজা ও মন্ত্রী ভাবিলেন, ভারি একটা মজার কথা আসিতেছে; আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন?”
রমাই। “সাহেবের চক্ষে দিন রাত্রি চস্মা আঁটা। ঘুমাইবার সময়েও চস্মা পরিয়া শােন্; নহিলে ভাল করিয়া স্বপ্ন দেখিতে পারেন না। সেনাপতি মহাশয়ের যুদ্ধে যাইতে আর কোন আপত্তি নাই, কেবল, পাছে চস্মার কাঁচে কামানের গােলা লাগে ও কাঁচ ভাঙিয়া চোখ কাণা হইয়া যায়, এই যা’ ভয়! কেমন মহাশয়?”
সেনাপতি চোখ টিপিয়া কহিলেন, “তাহা নয়ত কি?” তিনি আসন হইতে উঠিয়া কহিলেন “মহারাজ, আদেশ করেন ত বিদায় হই।”
রাজা সেনাপতিকে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইতে কহিলেন, “যাত্রার সমস্ত উদ্যোগ কর। আমার চৌষট্টি দাঁড়ের নৌকা যেন প্রস্তুত থাকে।” মন্ত্রী ও সেনাপতি প্রস্থান করিলেন।
রাজা কহিলেন, “রমাই, তুমি ত সমস্তই শুনিয়াছ। গতবারে শ্বশুরালয়ে আমাকে বড়ই মাটি করিয়াছিল?”
রমাই। “আজ্ঞা হাঁ, মহারাজের লাঙ্গুল বানাইয়া দিয়াছিল।”
রাজা হাসিলেন, মুখের দন্তের বিদ্যুৎছটা বিকাশ হইল বটে, কিন্তু মনের মধ্যে ঘােরতর মেঘ করিয়া উঠিল। এ সংবাদ রমাই জানিতে পারিয়াছে শুনিয়া তিনি বড় সন্তুষ্ট নহেন। আর কেহ জানিলে ততটা ক্ষতি ছিল না। অনবরত গুড়গুড়ি টানিতে লাগিলেন।
রমাই কহিল, “আপনার এক শ্যালক আসিয়া আমাকে কহিলেন বাসর ঘরে তােমাদের রাজার লেজ প্রকাশ পাইয়াছে; তিনি রামচন্দ্র,