পাতা:ব্যঙ্গকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বশীকরণ
৮৫

 আশু। লজ্জা ক’র বেন না! মাতাজি আমার প্রতি যে-রকম অনুগ্রহ প্রকাশ ক’রেচেন, আপনিও আমাকে আপনার লােকের মতােই দেখ বেন। (আত্মগত) মেয়েটি কী লাজুক! আমার কথা শুনে আরো যেন লাল হ’য়ে উঠ লাে।

 শ্যামা। বাবা, তােমার ইচ্ছামত ওকে জিজ্ঞাসাপত্র করাে।

 আশু। আপনার কোন্ কোন্ বিদ্যায় অধিকার আছে, জান তে উৎসুক হ’য়ে আছি।

 শ্যামা। বয়স অল্প, বিদ্যা কতােই বা বেশি হবে—তবে—

 আশু। যতো অল্পই হােক্ মাতাজি, আমাদের মতো লােকের পক্ষে যথেষ্ট হবে।

 শামা। (আত্মগত) বিদ্যার কোনো পরিচয় না পেয়েই যখন এতো সন্তুষ্ট, তখন মেয়েকে পছন্দ ক’রেচে ব’লেই বােধ হ’চ্চে। বাঁচা গেল, আমার বড়াে ভাবনা ছিল। (প্রকাশ্যে) নিরু, একটি গান শুনিয়ে দাও তো মা!

 আশু। গান! এ আমার আশার অতীত। আপনি বােধ হয় পূর্ব্বে থেকেই জানেন, গানের চেয়ে আমি কিছুই ভালােবাসিনে (স্বগত) অন্নদার মতো এতো বড়ো সন্দেহী, সে থাক লে আজ যােগের বল প্রত্যক্ষ ক’র তে পার তো! (প্রকাশ্যে নিরুপমার প্রতি) আপনারা আমাকে একদিনেই চিরঋণী ক’রেচেন-যদি গান করেন, তবে বিক্রীত হ’য়ে থাক বো!

(নিরুপমার গান)

কাফি-ঝাঁপতাল

(আমি) কি ব’লে করিব নিবেদন
আমার হৃদয় প্রাণমন?
চিত্তে এসে দয়া করি’  নিজে লহো অপহরি’