আশু। মনে ক’র্বো! বলেন কী? আপনার কথা শুন্তেই তো এসেছিলেম—বাচালের মতো কেবল নিজেই কতকগুলো ব’কে গেলেম। আমাকে মাপ ক’র্বেন।
শ্যামা। তোমার যদি মত থাকে, তাহ’লে একটা দিনস্থির ক’র্তে হ’চ্চে তো?
আশু। (স্বগত) আমি ভেবেছিলেম, আজই সমস্ত হ’য়ে যাবে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার, তাই বোধ হয় হ’ল না। (প্রকাশ্যে) তা আস্চে রবিবারেই যদি স্থির করেন?
শ্যামা। বলো কী বাবা। আজ বৃহস্পতিবার, মাঝে তো কেবল দুটো দিন আছে!
আশু। এর জন্যে কি অনেক আয়োজনের দরকার হবে?
শ্যামা। তা হবে বৈ কি বাবা—যথাসাধ্য ক’র্তে হবে। ছাড়া, পাঁজি দেখে একটা শুভদিন স্থির ক’র্তে হবে তো।
আশু। তা বটে, শুভদিন দেখ্তে হবে বৈ কি! আসল কথা, যতো শীঘ্র হয়! আমার যে-রকম আগ্রহ, ইচ্ছে হ’চ্চে, এই মুহুর্ত্তেই—
শ্যামা। তা আমি অনর্থক দেরি কর্বো না বাবা। আস্চে অঘ্রাণমাসেই হ’য়ে যাবে। মেয়েটিরও বিবাহযোগ্য বয়স হ’য়ে এসেছে, ওকেও তো আর রাখা যাবে না।
আশু। ওঁর বিবাহ হ’য়ে গেলেই বুঝি—
শ্যামা। তাহ’লেই আবার আমি কাশীতে ফিরে যেতে পারি।
আশু। তাহ’লে তা’র আগেই আমাদের—
শ্যামা। সব ঠিক ক’রে নিতে হবে।
আশু। তবে দিনক্ষণ দেখুন!
শ্যামা। তুমি তো রাজি আছ বাবা!
আশু। বিলক্ষণ! রাজি যদি না থাক্বো তো এখানে এলেম