পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালীর গলদ আমি এখানে বাঙালীর গলদ সম্বন্ধে আমার কয়েকটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করিব, ‘বাঙালীর গলদ"—তাহার অর্থ আমাদের নিজেদেরই পাপ-পুণ্যের কাহিনী । ‘পুণ্য’ কথাটি অবশ্ব গৌরবে বহুবচনের মতই ব্যবহার করিলাম, আসলে ইহা অামাদের পাপেরই কাহিনী—লজ্জারই কাহিনী । ইহার উপর আলোক-সম্পাত না করিলেই হয়তো ভাল ছিল । তবু যে পাক ঘাটিলাম তাহার তাৎপৰ্য্য আছে। আশা করি, অামার দেশবাসী সে তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করিবেন। গত ১৯২৬ সালে যখন আমি বাৰ্ম্মশেল অয়েল কোংর অধীনে কলিকাতায় কেরোসিনের এজেণ্ট নিযুক্ত হইলাম, তখন বাজায়ে অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম, যে-সমস্ত খরিদার আমাদের কেরোসিন বিক্রয় করে, তাহাদের সবই হিন্দুস্থানী খোট্ট । তাহারা দেশ হইতে লোটা-কম্বল মাত্র সম্বল করিয়া কলিকাতায় আসিয়া একখানি ঘরভাড়া করিয়া আমাদের নিকট ধারে মাল লইয়া ব্যবসা চালাইতেছে । ইহাতে আমার মাথায় এক খেয়াল চাপিল—তাইতে, এই সমস্ত ব্যবসায়ে বেকার বাঙালী যুবক সম্প্রদায়কে নিযুক্ত করিলেতো তাহারা মাসে অন্ততঃ ২৫।৩০ টাকা অনায়াসে রোজগার করিতে পারে । সুতরাং আমি অগ্রণী হইয়া আমার পরিচিত কয়েকটি ও দেশের কয়েকটি যুবককে । উৎসাহিত করিয়া এই ব্যবসায়ে নিযুক্ত করিলাম। কয়েক মাস পরে দেখা গেল, ৮/১০টি দোকানের মধ্যে মাত্র একটি ছাড়া আর বাকী সব ক'টি আমার প্রদত্ত মূলধন নষ্ট করিয়া পাত তাড়ি ওটাইয়াছে— মালিকদের কেহ পলাইয়াছে, কেহ বা পলাইবার চেষ্টায় আছে ।