পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*& ব্যবসায়ে বাঙালী হুজুগ-fপ্রশ্নভা 最 যখন বিদেশী সিগারেট বয়কটু আন্দোলন হইল, তখন বাঙালীর বিড়ি ব্যবহারে আপত্তি ছিল না । ইম্পিরিয়াল টোবাকো কোংক্স এমন অবস্থা দাড়াইয়াছিল যে, সত্বর তাহাদের এদেশ হইতে কারবার গুটাইতে হইত। আমিও সে সময় উক্ত কোম্পানীর একজন এজেণ্ট ছিলাম। বন্ধু-বান্ধবের পীড়াপীড়িতে আমি উক্ত এজেন্সি পরিত্যাগ করিলাম। কোম্পানীর সাহেব উহা পরিত্যাগ করিতে আমাকে বারবার নিষেধ করিয়াছিল। সাহেব আমাকে বুঝাইয়াছিল, "মিষ্টার বোস! তুমি এজেন্সি ছাড়িও না ; বাঙালীর এই হজুগ বেশী দিন থাকিবে না, পরে কিন্তু ঠকিবে ।’ আমি সাহেবের সে কথায় কাণ দিলাম না—এজেন্সী ছাড়িয়া দিলাম। পরে উহা আমারই দেশের জনৈক লোক লইলেন। কিছুদিন পরে সত্যসত্যই দেখা গেল আমার আমলে যেখানে মাসিক ১০১২ হাজার টাকা বিক্রয় হইত, সেখানে ১৫/১৬ হাজার টাকা বিক্রয় হইতেছে। যাহারা সিগারেট ছাড়িয়া বিড়ি ধরিয়াছিলেন, আমি তাহাদের অনেককে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনারা আবার সিগারেটু ধরিলেন কেন ? তাহারা উত্তর দিলেন, “সকলেই যখন ধরিয়াছে, আমি একজন ছাড়িলেই আর লাভ কি ?” বাংলায় যখন যে আন্দোলনের স্বষ্টি হয়, দেখিতে পাই বাঙালীরা তাহাতে এমনভাবে মাতিয়া ওঠে যে, দেশ বুঝি একদিনেই স্বাধীন হইয়া যায়। কিন্তু ৬ মাসের বেশী সে ভাবপ্রবণতা কখনই স্থায়ী হইতে দেখা যায় না । বাঙালীর দ্বারা সমষ্টিগত ( joint ) কোন কাজ চলে না, কারণ সকলেই পণ্ডিত । যদি কাহারও প্রস্তাব গ্রাহ না হইল, অমনি তিনি রুষ্ট হইলেন। ফলে দলাদলির স্বষ্টি হইয়া উদেশ্ব পও হয় । , দেশের উন্নতির দিক হইতে সাধারণ-প্রতিষ্ঠানে এ জাতীয় পাণ্ডিত্য