পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলার কৃষি-উন্নতি বাংলা কৃষিপ্রধান দেশ। বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে চাষ-আবাদ করিয়া বাংলার জমীতে যাহাতে ভালভাবে ফসল উৎপন্ন হয় এবং চাষীদের অবস্থা উন্নত হয়, সৰ্ব্বাগ্রে সেই চেষ্টা করা বিশেষ আবখ্যক । চাষীর অবস্থা উন্নত হইলে সাধারণ লোকের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটিবে। বাংলাদেশে চাষীর অবস্থা শোচনীয় হওয়ার ফলেই, আজ সাধারণের মধ্যে এই ভীষণ অর্থকষ্ট দেখা দিয়াছে। শিল্পোন্নতি হইলেও যদি চাষীর অবস্থা ভাল না হয়, বাংলাদেশের ক্রয়শক্তি বৃদ্ধি পাইবে না । শুধু শিল্পআবিষ্কারের দ্বারা দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতার কোন সম্ভাবনা নাই। সংবাদপত্রে দেখিতে পাই, গবর্ণমেণ্ট বাংলার কৃষি-উন্নতির গবেষণায় অনেক টাকা ব্যয় করিয়া থাকেন । কিন্তু উহার ফলাফল জনসাধারণের অজ্ঞাত। সরকারী সাহায্যে বাংলায় কৃষি-উন্নতির কোন চেষ্টা দেখা যায় না, অথচ বাংলার কৃষক-সম্প্রদায়ের এই দারুণ অর্থসঙ্কটের দিনে একপ্রকার তাহাদেরই রক্তশোষণ করিয়া রাজস্ব আদায় হইতেছে। অথচ এই রাজস্বের অধিকাংশ টাকা ব্যয় হয় শাসন-কার্য্যে ও উচ্চপদস্থ সরকারী কৰ্ম্মচারীর পিছনে। ছিটেফোটা যাহা থাকে তাহাই দেশের গঠনমূলক কাৰ্য্যে ভিক্ষার চালের মত ছিটাইয়া দেওয়া হয়। দেশের জনহিতকর কাৰ্য্যের জন্য কোন প্রকার সরকারী সাহায্য প্রার্থনা করিলে বলা হয়, “নুতন ট্যাক্স ধাৰ্য্য করা ছাড়া উপায় নাই।” সরকারী তহবিলেও কোনদিন স্বচ্ছলতা আসিবে না, দেশের গঠনমূলক কাজেও কিছু ব্যয় হইবে না।