পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী ०१२ পরিচ্ছদ ও বায়স্কোপের নেশায় পাইয়া বসে। ধনীর দুলালদের সহিত। একত্রে হোষ্টেলে বাস করিতে আসিয়া ঐ সকল গরীবের ছেলেদেরও র্তfহাদের চাল-চলনের সহিত সমান তালে চলিতে সাধ যায়, এবং তাহাতে অনেকেই নিজেদের আর্থিক অবস্থার কথা ভুলিয়া যায়। ছাত্রদের জীবন ও চরিত্র যখন গঠনের মুখে, ঠিক তখনই যদি তাহাদের মনে ধনি-সন্তানের জীবন-যাত্রার আদর্শ বদ্ধমূল হয়, তাহ হইলে তাহীদের মিতব্যয়িতার শিক্ষা নষ্ট হইয়া যায়। আর প্রথম জীবনেই যদি বালকগণ মিতব্যয়ী হইতে শিক্ষা না পায়—বিলাস আড়ম্বরপূর্ণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হইয়া পড়ে, উত্তরকালে সংসার-জীবনে প্রবেশ করিয়া আর তাহারা আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে পারে না, ঋণগ্রস্ত হইয়া জীবন যাপন করে। রামজে ম্যাকডোনাল্ড বলিয়াছেন, “আমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবন অধিকাংশ লোকের পক্ষে ইষ্ট অপেক্ষা অনিষ্টই বেশী করে।” স্বীয় চেষ্ট ও অধ্যবসায় বলে সামান্ত শ্রমিক হইতে যিনি প্রধানমন্ত্রী হইয়াছিলেন, ইহা সেই ব্যক্তির কথা, কোন ভাববিলাসী ব্যক্তির কথা নহে। একটু অপ্রাসঙ্গিক হইলেও এখানে আমি একটা দৃষ্টাস্তের অবতারণা না করিয়া পারিলাম না। আমি জনৈক নিরক্ষর ব্যবসায়ীর কথা জানি। তিনি প্রথম জীবনে কোন একটি ইংরাজ কোম্পানীর লোহার কারথানায় মাসিক ১৫ টাকা বেতনে মিস্ত্রির কাজ করিতেন। পরে নিজের অধ্যবসায়ে নিজেই অতি ক্ষুদ্রভাবে প্রথমে একটি কারখানা স্থাপন করিয়া ক্রমশঃ প্রভূত টাকা উপার্জন করেন। তিনি র্তাহার পুত্রদিগকে মাটিক পৰ্য্যস্ত পড়াইয়া নিজের কারখানায় মিস্ত্রিদের সহিত কাজ শিক্ষায় নিযুক্ত করিতেন। কিছুকাল ঐ ভাবে কাজ শিক্ষা দেওয়ার পর তাহাদের উপর মিস্ত্রিদের কার্য্য-তত্ত্বাবধানের ভার দিতেন । র্তাহার পুত্রের পিতার নিকট ঐভাবে শিক্ষা প্রাপ্ত হইয়া, বৰ্ত্তমানে ঐ