পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ব্যবসায়ে বাঙালী এক একজন কোটপতি ! আচার্ষ্য পি, সি, রায় ইহা মর্শ্বে মৰ্ম্মে উপলব্ধি করিয়াছেন বলিয়াই অ-বাঙালীদের সম্বন্ধে স্পষ্ট কথাটি বলিতে র্তাহার দ্বিধা নাই । ষে দেশের রক্ত শোষণ করিয়া আজি এই সকল ব্যবসায়ীর টাকার উপরে গড়াগড়ি যায়, সেই দেশের লোকের প্রতিই তাহদের এই নির্বিবকার ঔদাসীন্য ! ইহা অপেক্ষা দুঃখের বিষয় কি হইতে পারে? ইংরাজ-জাতির বিরুদ্ধে আমাদের যত নালিশই থাক, এ কথাতে অস্বীকার করিতে পারি না, তাহার র্তাহাদের ব্যবসার মধ্যে বহু বাঙালীকে চাকুরী দিয়া প্রতিপালন করিতেছেন। ব্যবসনক্ষ্মে প্রাদেশিকভা ভাবতেবই এক প্রদেশবাসী লোকের যখন অন্য প্রদেশবাসী লোকের প্রতি সহানুভূতি নাই, তখন সাত সমুদ্র তেরো নদী পারের ইংরাজ-জাতির কথা তুলিয়, তাহাদেব উপর অভিশম্পাত করিয়া লাভ কি ? ভাবতের এই সমস্ত ব্যবসায়ীর সহিত তুলনা করিলে বরং ইংরাজ-জাতিকে অনেক উচ্চে স্থান দিতে হয়। বর্তমানে ভারতের প্রায় সকল প্রদেশে সরকারী চাকুরীতে 'ডমিসাইল' (Domicile) প্রশ্ন উঠিয়াছে। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলা উদার-বিহার বিহারীদের, উড়িষ্যা উড়িয়াদের, আসাম আসামীদের—কিন্তু বাংলা সকলের। এমন বেপরোয় লুঠের মহাল দুনিয়ায় আর কোথায়ও নাই। এতো গেল চাকুরীর ব্যাপারে—কারবারের বেলায়ও তাই । আমি বিহার প্রদেশে কয়েকটি বাঙালীর কারবার দেখিয়াছি। লক্ষ্য করিয়াছি, তথাকার অধিবাসীরা বাঙালীর দোকান হইতে কোন জিনিস ক্রয় করিতে অনিচ্ছুক। অন্ততঃ বেহারী একজন কর্মচারী বাঙালীর কারবারে না থাকিলে কারবার পরিচালনা করাই