পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী چې چالا অনেক ব্যবসায়ী উহা খরিদ করিয়া মজুত রাখে। বর্ষাকালে চাউলের দর যখন বেশী হয়, তখন বিক্রয় করিলে লাভ বেশী হয় । ধানচাউলের কাজে প্রায় লোকসান নাই এবং ইহার টাকাও বেশীদিন আটকাইয়া থাকে না । ৫,৬ মাসের মধ্যে হয়তো শতকরা ১০।১২২ টাকা লাভ হইতে পারে। বাজার-দর যদি বেশী চড়িয়া যায়, তাহ হইলে লাভ আরও বেশী হইতে পারে। কোন ব্যবসায়েরই লাভালাভ সবসময় একরূপ ( constant ) থাকে না । ভৈলের ব্যবসা—কলের তেল আমদানী হওয়ার ফলে বাংলার কুটর-শিল্প ঘানির ব্যবসা প্রায় একরূপ লোপ পাইয়াছে। সরিষা হইতে কলে তেল প্রস্তুত করিতে হইলে যাহা প্রতিমণ ১৬২ টাকায় পড় তা হয়, ঘানিতে তাহার পড়ত ২০২ টাকার কমে হয় না। কাজেই কলের সহিত প্রতিযোগিতায় ঘানি চলিতে পারে না । কলে পেষ। হইলে যে সরিষায় ৩/ মণে ১/ মণের অধিক তেল হয়, ঘানিতে পেষা হইলে তাহাতে w২ সেরে w৩ সেরের বেশী তেল হয় না। কাজেই ১৬ টাকায় যেখানে মণ পাওয়া যায়, সেখানে ২৩২ টাকা মণ খরিদ করিবার মত লোক পাওয়া যায় না। কানপুরের তেল-ক'লওয়ালাদিগের প্রতিযোগিতায় বাংলার কলওয়ালাদেরও অবস্থা শোচনীয় হইয়া দাড়াইয়াছে। কারণ রেলকোম্পানী কর্তৃক ঢালা তেলের গাড়ী প্রস্তুত হইয়াছে। উক্ত গাড়ীতে ঢালা তেল ভরতি হইয়া বাংলায় সৰ্ব্বত্রই আমদানী হইতেছে । ইহাতে টীনের কোন খরচ নাই। রেলগাড়ী হইতে ঢালা তেল পীপ টন ভৰ্ত্তি করিয়াই গুদামজাত করা চলিতেছে। কানপুর অঞ্চল হইতে তিন মণ সরিষা আমদানি করিতে ২০ মণ্ডল লাগে। এই তিন মণ সরিষা হইতে প্রস্তুত ১/ তেল আমদানী হইলে মাত্র দ• আনা মাণ্ডলে হয়। স্বতরাং কানপুর-অঞ্চলে তিনমণ সরিষার মূল্য ১৫২ টাকা হইলে উহা রেল-মাশুল সমেত কলিকাতায়